৯ ও ৬% সুদহার বাস্তবায়নে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চিঠি

সান বিডি ডেস্ক আপডেট: ২০১৯-০৭-১০ ১৫:৪৭:২৬


ঘোষণা দেওয়ার পরও যেসকল ব্যাংক ৯ ও ৬ শতাংশ হারে (যথাক্রমে) ঋণ ও আমানতের সুদহার নির্ধারণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেনি, সেগুলোর শীর্ষ নির্বাহীদের চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাঠানো চিঠিতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ঋণ ও আমানতের সুদহার কমিয়ে আনতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ’ থেকে সোমবার এ চিঠি পাঠানো হয়। বিভাগটির উপমহাব্যবস্থাপক একেএম এহসান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ২ আগস্ট সাবেক অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যান-এমডিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সভায় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি) ঘোষিত ঋণ বা বিনিয়োগের সুদহার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ এবং তিন মাস বা তার বেশি কিন্তু ছয় মাসের কম মেয়াদি আমানতের সুদহার সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ বাস্তবায়নের বিষয়ে মতৈক্য হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর এক পত্রের মাধ্যমে বিএবির ঘোষণা অনুযায়ী ঋণ বা বিনিয়োগের সুদহার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারণের জন্য ব্যাংকগুলোকে পরামর্শ দেয়া হয়। কিন্তু চলতি বছরের জুনের সুদ বা মুনাফার হার বিবরণী পর্যালোচনায় দেখা যায়, আপনাদের (চিঠি প্রাপকের) ব্যাংকের ঋণ বা বিনিয়োগের সুদ এবং তিন মাস বা তার বেশি কিন্তু ছয় মাসের কম মেয়াদি আমানতের সর্বোচ্চ সুদ বা মুনাফার হার যথাক্রমে ৯ ও ৬ শতাংশের বেশি নির্ধারিত রয়েছে, যা কাঙ্ক্ষিত নয়।

চিঠিতে সুদহার কমানোর তাগিদ দিয়ে বলা হয়, বিএবির ঘোষণা অনুযায়ী ঋণ বা বিনিয়োগ এবং আমানতের সুদ বা মুনাফার হার হ্রাস করার জন্য আপনাদের পুনরায় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

দেশের প্রায় সব বেসরকারি ব্যাংকের কাছেই এ চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠি প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ঋণ ও আমানতের সুদহার ৯ ও ৬ শতাংশ বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে পাঠানো চিঠি পেয়েছি। ব্যাংকার হিসেবে আমরাও ঋণের সুদহার ৯ শতাংশে নামিয়ে আনার পক্ষে। অতীতেও আমরা এর পক্ষে ছিলাম, এখনো আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব। কিন্তু কম সুদে আমানত না পেলে ব্যাংকের পক্ষে সিঙ্গেল ডিজিটে ঋণ বিতরণ করা সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, ঋণের সুদহার সিঙ্গেল ডিজিট বাস্তবায়নের জন্য আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও দেশের বড় বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানের সহায়তা চাই। যারা আমানত রাখেন তারা যদি সচেতন ও সতর্ক হন, তাহলে আমানতের সুদহার ৬ শতাংশে নেমে আসবে। আমানতকারীদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে।