নিউজিল্যান্ডের কাছে ১৮ রানে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে ভারত। বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ার ঘটনায় ভারতের প্রায় ১৫০ কোটি মানুষ যখন দুঃখিত, ঠিক সেই সময়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছেন কাশ্মীরি জনগণ। ভারতের পরাজয়ে রীতিমতো আনন্দ মিছিল বের করেছেন তারা।
এক্সপ্রেস টিবিউন উর্দূর খবরে বলা হয়, নিউজিল্যান্ডের বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে কোহলি বাহিনীর এমন পরাজয়ে পাকিস্তানিরা শুধু সোশ্যাল মিডিয়াতেই আনন্দ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু কাশ্মীরি জনগণ আতশবাজি ও আনন্দ মিছিলের মাধ্যমে ভারতের পরাজয়ের উৎসব করেছেন।
এক টুইটবার্তায় কাশ্মীরের হুররিয়াত কনফারেন্সের চেয়ারম্যান সাইয়্যেদ আলি গিলানি ভারতের পরাজয়ে আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, যে অন্যের জন্য গর্ত খুঁড়ে, একদিন সে গর্তে তাকেই পড়তে হয়।
শুধু এতটুকুই নয়, হুররিয়াত চেয়ারম্যান টুইটারে একটি ভিডিও শেয়ার করেন, যাতে দেখা যায়, ভারতের পরাজয় বরণ করে নিতে কাশ্মীরি তরুণরা পটকা ফুটিয়ে আনন্দ করছেন।
প্রসঙ্গত কাশ্মীরি জনগণের ওপর এখনও ভারত নির্যাতন চালাচ্ছে বলে মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানিয়েছে। ১৯৪৭ সাল থেকে ভারত-পাকিস্তান দুই পারমাণবিক দেশের যুদ্ধের কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে কাশ্মীর অঞ্চল।
নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদ কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গত ৭০ বছরে তিনটি যুদ্ধ অবতীর্ণ হয়েছে। কাশ্মীর নিয়ে ১৬ বছর আগে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু এটি প্রতিনিয়ত লঙ্ঘন করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানিয়েছে, বিগত ৩০ বছরে কাশ্মীরে স্বাধীনতা আন্দোলন থামাতে ব্যাপক নিপীড়ন চালাচ্ছে ভারত। স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হওয়া ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের বেসামরিক নাগরিকের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে।
গত সপ্তাহে কাশ্মীর নিয়ে সংঘাতের ঘটনায় সোমবার আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘ হাইকমিশনার ফর হিউম্যান রাইটস (ইউএনএইচসিআর)।
ইউএনএইচসিআর দফতর জানায়, কাশ্মীরি জনগণের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের অধিকার আন্তর্জাতিক আইনে স্বীকৃত এবং ভারতের উচিত ওই অধিকারকে সম্মান জানানো।
ইউএনএইচসিআরের মতে, কাশ্মীরে ‘অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ’ করছে ভারতীয় বাহিনী। দিল্লির বিরোধীদের যখন খুশি আটক করা হচ্ছে। কোনো ধরনের ঘোষণা ছাড়াই বন্ধ রাখা হচ্ছে ইন্টারনেট।