মার্সেল ফ্রিজ কিনে রেজিস্ট্রেশন করলে ১ লাখ টাকা পাওয়ার সুযোগ। অবিশ্বাস্য মনে করেছিলেন মার্সেল ফ্রিজের ক্রেতা কুষ্টিয়ার দৌলতপুর গোয়ালগ্রামের মো. শাহারুল ইসলাম এবং নারায়নগঞ্জ সদরের মিজমিঝি দক্ষিণ পাড়ার বাবুল হোসেন। কিন্তু, ফ্রিজ কিনে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে তারা দুজনেই এক লাখ টাকা করে পেয়েছেন। তারা দুজনেই বেজায় খুশি।
ঈদুল আযহা বা কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ফ্রিজের ক্রেতাদের জন্য ‘ঈদের খুশি জমবে বেশি- প্রতিদিনই লাখপতি’ শীর্ষক ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে মার্সেল। এর আওতায় ৩ জুলাই থেকে কোরবানি ঈদ পর্যন্ত ক্রেতারা দেশের যে কোনো শোরুম থেকে মার্সেল ফ্রিজ কিনে রেজিস্ট্রেশন করলে প্রতিদিনই এক লাখ টাকা করে পেতে পারেন। থাকছে নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার কিম্বা হাজার হাজার পণ্য ফ্রি পাওয়ার সুযোগ।
এই ক্যাম্পেইনের আওতায় কুষ্টিয়া দৌলতপুরের প্রাকপুর বাজারে মার্সেলের এক্সক্লুসিভ ডিলার তাজ ইলেকট্রনিক্সের সাব-ডিলার জে-আর ইলেকট্রনিক্স থেকে গত রবিবার ৩৪ হাজার টাকা মূল্যের একটি ১৮ সিএফটি ফ্রিজ কিনেন মোঃ শাহারুল ইসলাম। ৩ মাসের কিস্তি সুবিধায় ফ্রিজটি কিনেন তিনি। এরপর তার মোবাইল ফোন থেকে ম্যাসেজের মাধ্যমে ফ্রিজটি রেজিস্ট্রেশন করেন। এর কিছুক্ষণ পরেই মার্সেলের কাছ থেকে এক লাখ টাকা পাওয়ার ফিরতি ম্যাসেজে পান তিনি। একই দিনে নারায়নগঞ্জ সিদ্বিরগঞ্জে শারমিন ইলেকট্রনিক্স থেকে ফ্রিজ কিনে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে এক লাখ পেয়েছেন বাবুল হোসেন।
শাহারুল ইসলাম জানান, কৃষিকাজ করে সংসার চালাই। ফ্রিজ কেনার কথা অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম। কিন্তু হাতে টাকা ছিলনা। তাই ৩ মাসের কিস্তিতে ফ্রিজটি কিনি। রেজিস্ট্রেশনের পর মার্সেলের কাছ থেকে যখন এক লাখ টাকার ম্যাসেজ পাই, তখন বিশ্বাস করিনি। পরবর্তীতে শোরুমে এসে চেক বুঝে নিতে বললে, পুরো হতভম্ব হয়ে যাই। মনে হচ্ছিল- আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছি। আমরা পরিবারের সবাই খুব খুশি।
শাহারুলের মতো একই রকম অনুভূতি’র কথা জানালেন মার্সেল ফ্রিজের আরেক ক্রেতা নারায়নগঞ্জের বাবুল হোসেন। তিনি বলেন, “ফ্রিজ কিনে এক লাখ টাকা, অবিশ্বাস্য! কোনদিনও এমনটি ভাবিনি। মার্সেল যে ক্রেতাদের দেয়া প্রতিশ্রুতি শতভাগ রক্ষা করে তার প্রমাণ আমি নিজেই। মনে হচ্ছে, মার্সেল ফ্রিজ কিনে আমি খুবই ভাগ্যবান।”
তিনি জানান, অনেকদিন ধরেই বড় ডিপ রয়েছে এমন ফ্রিজ খুঁজতেছিলাম। কিন্তু পাচ্ছিলাম না। গত রবিবার বন্ধুর শোরুম শারমিন ইলেকট্রনিক্সে আসলে, পছন্দের ফ্রিজটি পেয়ে যাই। মার্সেল ফ্রিজে নরমালের মতো ডিপ অংশও বড়। দেখতেও চমৎকার। যা অন্য কোম্পানির ফ্রিজে পাইনি। তাই দেরী না করে সেদিনই পছন্দের ফ্রিজটি কিনে ফেলি।
অনলাইনে দ্রুত সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দেয়ার লক্ষ্যে সারা দেশে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে মার্সেল। রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে ক্রেতার নাম, ফোন নম্বর এবং ক্রয়কৃত পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য মার্সেলের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এর ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে ফেললেও দেশের যেকোনো মার্সেল সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত কাক্সিক্ষত সেবা মিলবে। সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমে ক্রেতাদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর লক্ষ্যে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে মার্সেল।