যশোরের মণিরামপুর উপজেলার সাতগাতি এলাকার ব্যবসায়ী আবদুল মান্নান কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য একটি ষাঁড় পালন করছেন। দৈত্যাকার এই ষাঁড়টির নাম রেখেছেন বরকত। বিশাল এই ষাঁড় সচরাচর চোখে পড়ে না। তাই মান্নানের বাড়িতে প্রতিনিয়ত উৎসুক মানুষের ভিড়। কেউ আসছেন ষাঁড়টি কেনার উদ্দেশে, কেউ দেখতে।
মান্নান জানান, এখন পর্যন্ত ষাঁড়টির দাম উঠেছে ছয় লাখ। বিক্রেতার চাহিদা ৮ লাখ। দাম ৮ লাখ না উঠলে ঈদের বাজার পর্যন্ত দেখবেন তিনি। তার আশা এই দামেই তার ষাঁড়টি বিক্রি হবে।
সুন্দর চকচকে হওয়ায় গত বছর খুলনার হাটে গরুটি বাজারের সবচেয়ে সুন্দর হিসেবে বিবেচিত হয়। তখন এর দাম ওঠে ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা। কিন্তু মান্নান আরও দাম পাওয়ার আশায় গরুটি বিক্রি করেননি। এখন বরকতের বয়স ৩ বছর ১১ মাস। ওজন ১৩০০ কেজির মতো হবে। এতে ২২ মনের মতো মাংস হতে পারে বলে দাবি করেন মান্নানের।
বছর তিনেক আগে উপজেলার খানপুর এলাকার জনৈক মাসুম সরদারের কাছ থেকে ৯২ হাজার টাকা দিয়ে ব্রাহমা প্রজাতির এই গরুর বাছুরটি কেনেন মান্নান। সেই সময় এর বয়স ছিল দেড় বছরের কাছাকাছি। গায়ের রঙ সাদা।
মান্নান জানান, বাছুরটি বাড়িতে আনার পরই তার সংসারে আয় বরকত বেড়ে যায়। এ জন্য আদর করে বাছুরটির নাম রাখা হয় ‘বরকত’। তিন বছর পর সেটি এখন পুরোদস্তুর ষাঁড়ে পরিণত হয়েছে। আসছে কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য এর দাম আট লাখ টাকা হাঁকা হয়েছে।
বরকতের লালন-পালন সম্পর্কে মান্নান জানান, বরকতের জন্য একটি গোয়ালঘর করা হয়েছে। সেখানে একটি সিলিংফ্যান রয়েছে। খাদ্য হিসেবে জাউনা (বিচালি), খুঁদের ভাত, সরিষার খৈল আর গমের ভুসি ব্যবহার করা হয়। প্রথম দিকে কাঁচাঘাস দেয়া হলেও পরে তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।