পারস্য উপসাগরে আটক করা তেলবাহী ট্যাঙ্কার ছেড়ে দিতে যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইরান। একইসঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোকে মধ্যপ্রাচ্য ছাড়ার হুমকি দিয়ে তেহরান বলছে, ‘এই অঞ্চল ছেড়ে চলে যান কারণ ইরান এবং অন্যান্য উপসাগরীয় দেশ নিজেরাই এই অঞ্চলের আঞ্চলিক নিরাপত্তা দিতে সক্ষম।
ব্রিটিশ রয়্যাল নৌবাহিনী গত সপ্তাহে ইরানের একটি তেলবাহী ট্যাঙ্কার আটক করে। ট্যাঙ্কারটি ইরান থেকে সিরিয়া যাচ্ছিল। আটক করার কারণ হিসেবে ব্রিটিশ রয়্যাল নৌবাহিনী বলছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সিরিয়ায় তেল পাঠাচ্ছিল ইরান। কিন্তু ইরান বলছে, তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য নয় তাই তাদের কাছে ওই নিষেধাজ্ঞার কোনো মূল্য নেই।
আজ শুক্রবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্বাস মুসাভি দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনাকে বলেছেন, ‘এটা একটা ভয়ঙ্কর খেলা এবং পরিণাম আছে। ট্যাঙ্কার আটক করার পেছনে যে আইনি কথা বলা হচ্ছে তা বৈধ নয়। ট্যাঙ্কারটি ছেড়ে দেয়ার ব্যাপারে সব দেশের আগ্রহ আছে।’ যদি ট্যাঙ্কারটি না ছাড়া হয় তাহলে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার হুশিয়ারি দিয়েছে ইরান।
পারস্য উপসাগরে বুধবার তিনটি ইরানি নৌকা একটি ব্রিটিশ তেলবাহী ট্যাঙ্কারকে আটকানোর চেষ্টা করেছিল। এমন দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। হরমুজ প্রণালীর ওই ঘটনায় ইরানের কোনো হাত নেই বলে এমন অভিযোগ প্রত্যাখান করেছে ইরান। তবে যুক্তরাজ্য বলছে, নৌকা তিনটি ছিল ইরানের রেভ্যুলেশনারি গার্ড বাহিনীর।
ব্রিটিশ জাহাজ দেশ দুটির এমন দাবির মধ্যেই তেহরান ব্রিটিশ রয়্যাল বাহিনীর হাতে আটক তাদের ট্যাঙ্কার ছেড়ে দেয়ার এমন আহ্বান জানাল। আর তা নাহলে পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারি দিল। আর এর মাধ্যমে ইরান এবং পশ্চিমা দেশগুলো বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুসাভি বলেছেন, যুক্তরাজ্য ইরানের যে তেলবাহনী ট্যাঙ্কারটি আটক করেছে সেটা তারা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের চাপে পড়ে। তার মতে, ‘এমন অবৈধ কাজের মাধ্যমে পারস্যা উপসাগরের উত্তেজনা বাড়বে।