দীর্ঘদিন ধরে এশিয়ার দেশগুলোতে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) চাহিদায় শ্লথ অবস্থা বজায় ছিল।এ অবস্থানর কারণে জ্বালানি পণ্যটির বাজারও ছিল নিম্নমুখী। সর্বশেষ সপ্তাহে এশিয়ার বাজারে এলএনজির গড় দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় সামান্য বেড়েছে। তবে বাড়ার পরও জ্বালানি পণ্যটির বাজার পরিস্থিতিকে স্থিতিশীল বলছেন জ্বালানি বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, এশিয়ার দেশগুলোয় এলএনজির চাহিদায় বড় ধরনের উল্লম্ফন দেখা না দিলে বাজার পরিস্থিতিতেও বড় কোনো বাঁকবদল ঘটার সম্ভাবনা কম। খবর রয়টার্স ও সিনহুয়া।
উত্তর-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর স্পট মার্কেটে সর্বশেষ সপ্তাহে প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট (২৭ দশমিক শূন্য ৯৬ ঘনমিটার) এলএনজির গড় দাম দাঁড়িয়েছে ৪ ডলার ৪০ সেন্টে। সে হিসাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে জ্বালানি পণ্যটির গড় দাম বেড়েছে সাকল্যে ১০ সেন্ট। অন্যদিকে গত সপ্তাহে সেপ্টেম্বরে সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট এলএনজি বিক্রি হয়েছে গড়ে ৪ ডলার ৭০ সেন্টে।
সর্বশেষ সপ্তাহে ব্রুনাই এলএনজিবাহী একটি কার্গো রফতানি করেছে। আগস্টে সরবরাহ চুক্তিতে এ চালানের প্রতি মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট এলএনজির গড় দাম পড়েছে ৪ ডলার ৫০ সেন্ট। একই সময় মালয়েশিয়ার প্রতিষ্ঠান পেট্রোনাস একই দামে আগস্টে সরবরাহ চুক্তিতে এক কার্গো এলএনজি বিক্রি করেছে।
এশিয়ান ট্রেডাররা জানান, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশ এশিয়ান এলএনজির প্রধান ক্রেতা। বর্তমানে এসব দেশে এলএনজির চাহিদায় বড় কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। বরং ইউরোপের দেশগুলোয় বাড়তি দামের প্রভাবে এশিয়াতেও এলএনজির দাম আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। তবে এটা এশিয়ার এলএনজি বাজারে বড় কোনো বাঁকবদল নয়।
তারা আরো জানান, শীত মৌসুমের আগমন ঘটলে এশিয়ার দেশগুলোয় এলএনজির চাহিদা বেড়ে যায়। তাই শীত আসার আগেই এ অঞ্চলের দেশগুলো মজুদ বাড়ানোর জন্য জ্বালানি পণ্যটির আমদানি বাড়িয়ে দেয়। এশিয়ার বাজারে এ পরিস্থিতি তৈরি হবে সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ। তাই এর আগে এশিয়ায় এলএনজির স্পটমূল্য বাড়ার সম্ভাবনা খুবই কম। বাড়তি চাহিদার জের ধরে এলএনজির দাম বাড়তে বাড়তে সেপ্টেম্বর পেরিয়ে যেতে পারে। ফলে এর আগে এলএনজি আমদানিকারক দেশগুলো তুলনামূলক কম দামে জ্বালানি পণ্যটি কেনার সুযোগ পাবেন।