টানা দরপতনে আবারও মাঠে নেমেছে বিনিয়োগকারীরা। প্রতিদিন লেনদেনে শেষ হলে দাঁড়িয়ে যান দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)র সামনে। চলে বিভিন্ন দাবীতে স্লোগান। রোববার দুপুরে ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনে বিক্ষোভ করেন তারা।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিনিয়োগকারীরা বলেন, পুঁজিবাজারে চলমান এ পরিস্থিতিতে বিএসইসির কর্মকর্তারা যদি বিনিয়োগকারীদের কথা চিন্তা করে কাজ করে; তাহলে বাজারের এই অস্থিরতা আর থাকবে না। বাজারের এই দুর্দশা ফেরাতে চলমান অস্থিরতা দূর করার বিকল্প কিছু নেই।
বাজেট পুঁজিবাজার বান্ধব হয়েছে জানিয়ে এক বিনিয়োগকারী বলেন, ঊর্ধ্বমুখী বাজারের স্বার্থে বাজেটে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কোম্পানির নগদ লভ্যাংশের থেকে বেশি বোনাস শেয়ার ঘোষণা করলে, তার উপরে ১০ শতাংশ হারে কর এবং মুনাফার ৭০ শতাংশের বেশি রিটেইন আর্নিংস বা রিজার্ভ রাখলে, তার উপরে ১০ শতাংশ হারে কর, এই দুই পদক্ষেপই বিনিয়োগকারীদের পক্ষে হয়েছে। আমরা এর সাধুবাদ জানাই।
এই মানববন্ধন কতদিন চলবে এমন প্রশ্নের জবাবে বিনিয়োগকারীরা জানান, মানববন্ধন করা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের অনেক চাপের মুখে পড়তে হয়। আমাদের নানান ভাবে বাঁধা দেয়া হয়। রোজার আগেও আমরা বিক্ষোভ করেছি। আমরা বিনিয়োগকারীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে পর্যন্ত বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরে না আসবে, বাজার ঊর্ধ্বমুখী না হবে সে পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজান উর রশিদ বলেন, বাজারের চলমান দুরাবস্থা কাটাতে আমরা আন্দোলন করছি। আমরা ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজার চাই। আগামিকাল সোমবার একই সময় আমরা ডিএসইর সামনে আবার একযোগে আন্দোলন করব এবং বাজার ঠিক না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।