নতুন বাণিজ্য সম্ভাবনা খুঁজে দেখা এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে আরও নিবিড় অংশিদারত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে কলকাতায় সিডব্লিউবিটিএ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া ট্রেড সামিটে অংশ নিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিমসহ একটি প্রতিনিধিদল। আগামী ১৫ ও ১৬ জুলাই ভারতের কলকাতায় এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধান অতিথি হিসেবে দুই দিন ব্যাপি এ সামিটের উদ্বোধন করেছেন এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন,কলকাতার মেয়র ও মন্ত্রী ফরহাদ হাকিম,পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী ড. অমিত মিত্রও এবং বিভিন্ন দেশেরে প্রতিনিধিরা। কনফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড এসোসিয়েশনস সম্মেলনটির আয়োজন করেছে। সম্মেলনে থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, নেপাল, ভূটান এবং ভারতের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ি নেতারা অংশ নিয়েছেন।
আয়োজিত সম্মেলনের লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিবেশী দেশগুলোর ব্যবসায়ি নেতাদের মধ্যে ব্যবসা সম্ভাবনার সন্ধান, বৈদেশিক বাণিজ্য সহজীকরণে সুপারিশমালা প্রণয়ন, রপ্তানি পণ্যের তালিকা নিয়ে আলোচনা এবং তথ্য বিনিময়।
অনুষ্ঠানে শেখ ফাহিম বাংলাদেশের উদার বিনিয়োগ নীতির উল্লেখ করে বলেন যে, বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য কর অবকাশ, কর অব্যাহতি, ট্যারিফ ফেরত, দ্বৈত কর প্রতিরোধ এবং ১০০% মালিকানাসহ পুঁজি হস্তান্তরের সুযোগ রেখেছে।
এফবিসিসিআই সভাপতি বাণিজ্য বহুমূখীকরণে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের পাশাপাশি চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ, হিমায়িত সামুদ্রিক খাদ্য, সিরামিক, পাটপণ্য, তথ্য প্রযুক্তি এবং হোম এ্যাপ্লায়েন্স ইত্যাদিও সম্ভাবনা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যেহেতু উন্নততর অর্থনৈতিক কাঠামোতে উন্নীত হচ্ছে, তাই সম্ভাবনাময় কিছু খাতে যৌথভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। খাতগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো-
ক. হালকা, মাঝারি ও ভারি শিল্পের জন্য যৌথ উদ্যোগে উচ্চ প্রযুক্তির গবেষণা, উন্নয়ন ও উদ্ভাবন ,
খ. তৃতীয় শিল্প বিপ্লব থেকে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবে উন্নীতকরণের এ লগ্নে প্রয়োজনীয় জ্ঞান বিনিময়,
গ. বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং রাজস্ব কাঠামো ও নীতি পরিকল্পনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় জ্ঞান বিনিময় এবং
ঘ. সমূদ্র অর্থনীতির বিকাশে যৌথ উদ্যোগ গ্রহন।
এফবিসিসিআই সভাপতি এবং সিনিয়র সভাপতির অবর্তমানে এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি জনাব মো: সিদ্দিকুর রহমান সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন। সম্মেলন শেষে এফবিসিসিআই প্রতিনিধিদল আগামি ১৭ জুলাই ঢাকায় ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।