তারল্য সংকটে ধুকছে দেশের আর্থিক খাত। ফলে কমছে না সুদের হার। যার নেতিবাঁচক প্রভাব পড়ছে দেশের পুঁজিবাজারে। তারল্য সংকট সমাধান ও সুদের হার কমাতে একগুচ্ছ উদ্যোগ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তারল্য সংকটের সমাধান হলে তার ইতিবাঁচ প্রভাব পুঁজিবাজারে পড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২২ জুলাই আসতে পারে দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতির ঘোষণা। অন্যদিকে আগামী ২১ জুলাই সকল বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর নির্বাহীদের ডেকেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই মুদ্রানীতির আগে তাদের সাথে আলোচনা বসছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সূত্র মতে, এবারের মুদ্রানীতিতে তারল্য প্রবাহ বাড়াতে উদ্যোগ নিতে পারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অন্যদিকে অনেকগুলো নেতিবাঁচক খবরের মধ্যেও কিছু ইতিবাঁক খবর রয়েছে আর্থিক খাতের। এর মধ্যে অন্যতম হলো কলমানি রেট কমা, আমাদানির জন্য ডলার কিনতে হচ্ছে না বে-সরকারি ব্যাংকগুলোকে। এর ফলে কমবে তারল্য সংকট। রপ্তানি বাড়াতে নগদ প্রণোদনা ঘোষণা; ফলে বাড়বে রপ্তানি, আয় হবে বৈদেশিক মুদ্রা। রেমিট্যান্স বাড়াতে নগদ প্রণোদনা; ফলে ব্যাংকিং চ্যানেলে বাড়বে রেমিট্যান্স প্রবাহ। একই সঙ্গে লিমিট বেড়েছে এক্সপোর্ট ডেভলাপমেন্ট ফান্ডের (ইডিএফ)।
আগামী ২১ জুলাই হতে যাওয়া বৈঠকে দেশের ব্যাংকিং খাতের বিদ্যমান তারল্য সংকট, ঋণ ও আমানতের ঊর্ধ্বমুখী সুদহার নিয়ন্ত্রণ, খেলাপি ঋণের লাগাম টানা, মার্জার-অ্যাকুইজিশন ও দেউলিয়া আইন প্রবর্তন, আইনি কাঠামো ও অর্থঋণ আদালতের সংস্কার বিষয়ে পর্যালোচনাসহ অন্তত এক ডজন বিষয়ে আলোচনা হবে। বিদায়ী অর্থবছরের জন্য ঘোষিত মুদ্রানীতি পর্যালোচনা এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরের মুদ্রানীতির কৌশল ও লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের বিষয়টিও বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
তারল্য সংকটের বিষয়ে ইবিএল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) পরিচালক মো. ছায়েদুর রহমান সান বিডিকে বলেন, অর্থিক খাতের সংকট পুঁজিবাজারে অনেক বেশি নেতিবাঁক প্রভাব পড়ে। যদি আর্থিক খাতের তারল্য সংকট সমাধান হয়; তাহলে অবশ্যই এর ইতিবাঁচক প্রভাব পুঁজিবাজারে পড়বে।