টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জামালপুরের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। বুধবার সকালে যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অন্তত ৪ লাখ মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নব কুমার চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাজিব কুমার সরকার জানান, জেলার ৭ উপজেলার ৬৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫২টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। এছাড়াও বন্যা কবলিত হয়েছে ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও মাদারগঞ্জ পৌরসভাও। রেল লাইনে পানি ওঠায় বন্ধ হয়ে গেছে ইসলামপুর-দেওয়ানগঞ্জ রুটে ট্রেন চলাচল। ২৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ৫ হাজার ৭২০ জন মানুষ। বন্ধ হয়ে গেছে ৫৬৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান। তলিয়ে গেছে অন্তত ১৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল।
বন্যাদূর্গত এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ৩৭০ মেট্রিক টন চাল, নগদ সাড়ে ৬ লাখ টাকা ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। তবে দুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি, খাবার ও গো-খাদ্যের সংকট তীব্র হয়ে উঠেছে।
তবে বন্যা কবলিতরা বলছেন, যে পরিমাণ ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে প্রয়োজনের তুলনায় তা একেবারেই অপ্রতুল। তাছাড়া অনেকেই ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ করছেন।