বঙ্গোপসাগরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বিভিন্ন সময় ভারতীয় মৎস্যজীবীরা ঢুকে পড়েছিলেন বাংলাদেশের জলসীমায়। আইন অনুযায়ী তাদের হেফাজতে নেয় বাংলাদেশ। সেই সকল নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের এবার দেশে ফেরানো হচ্ছে। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ থেকে রওনা দিয়েছে ৩২টি ভারতীয় ফিশিং বোট। দেশে ফিরছেন ৫১৬ জন মৎস্যজীবী।
ভারত ও বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনীর আঞ্চলিক স্তরের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় কলকাতায়। সূত্রের খবর, উপকূল রক্ষার নানা বিষয়ে দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশেই আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন ক্যাপ্টেন মহম্মদ মইনউদ্দিন এবং ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন ইন্সপেক্টর জেনেরাল রঞ্জন বারগোত্রা।
আলোচনার অন্যতম বিষয় ছিল মৎস্যজীবীদের সুরক্ষায় দুই দেশের সমন্বয়। পাশাপাশি মৎস্যজীবীদের ফেরানো নিয়েও কথা হয় দুই দেশের মধ্যে। বৈঠক শেষ হওয়ার পর গতকাল বিকেলেই ৫১৬ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে নিয়ে রওনা দেয় ৩২টি ফিশিং বোট। এই বোটগুলিকে এস্কর্ট করে নিয়ে আসছে বাংলাদেশ উপকূলরক্ষী বাহিনীর দুটি জাহাজ।
কয়েকদিন আগে উত্তাল সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়ে মাঝ সমুদ্রে উল্টে গিয়েছিল ভারতীয় মৎস্যজীবীদের চারটি ট্রলার। ট্রলারগুলিতে ৬১ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। নিখোঁজদের উদ্ধারে সচেষ্ট হয় বাংলাদেশ উপকূলরক্ষী বাহিনীও। পাঁচ দিন ভেসে থাকার পর উদ্ধার হন মৎস্যজীবী রবীন্দ্রনাথ দাস। তাকে উদ্ধারেও ভূমিকা নিয়েছিল বাংলাদেশ। এদিকে ৫১৬ জন মৎস্যজীবীকে ভারতীয় জলসীমা থেকে এস্কর্ট করে আনার জন্য রওনা দিয়েছে কোস্ট গার্ডের বিজয়া ও অনমোল নামে দুটি জাহাজ। তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন ২৪ জন মৎস্যজীবী। তাদের উদ্ধারের বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয় বলে খবর।