গ্রাহক ভোগান্তির বিষয়টি আমলে নিয়ে মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবির ব্যান্ডউইথ কমিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)।
বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যান্ডউইথ কমিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন কমিশনের চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক। তবে ব্লক তুলে নিলেও অপারেটর দু’টির এনওসি (নো অবলিগেশন সার্টিফিকেট) বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সংস্থাটি।
সংবাদ সম্মেলনে জহুরল হক বলেন, ব্যান্ডউইথ বন্ধ করায় সাধারণ মানুষেরা কখনও কখনও কিছু কিছু সমস্যা হয়। তাই ব্যান্ডউইথ কমিয়ে দেওয়ার যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। অর্থাৎ ব্যান্ডউইথ কমিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে। আমরা এখন টাকা আদায়ে এনওসি বন্ধ করে দেব।
এর আগে, বকেয়া পরিশোধ না করায় মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোন (জিপি) ও রবি আজিয়াটার (রবি) ব্যান্ডউইথ সক্ষমতা কমিয়ে দেয় বিটিআরসি। গ্রামীণফোনের ৩০ শতাংশ ব্যান্ডউইথ আর রবির ১৫ শতাংশ ব্যান্ডউইথ কমানোর জন্য আইআইজি প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি পাঠায় সংস্থাটি। গত ৪ জুলাই এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়।
এ নির্দেশনা কার্যকরের পর থেকে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন ধরণের ভোগান্তিতে পড়েন। ইন্টারনেটের গতি কমে যাওয়ার অভিযোগ আসে বিভিন্ন মহল থেকে। গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকেও গ্রাহক ভোগান্তি ও ইন্টারনেট সেবায় বিঘ্ন ঘটতে পারে বলেও জানানো হয়।
এরইমধ্যে, মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ পরিদর্শনে যান প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। মন্ত্রী, বিটিআরসির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে অপারেটর দু’টির ব্যান্ডউইথ কমিয়ে রাখার ঘোষণা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়।
মঙ্গলবারের ওই বৈঠকের এক দিন পরেই বিটিআরসি সংবাদ সম্মেলন করে ব্যান্ডউইথ থেকে ব্লক তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেয়। তবে বকেয়া আদায় না হওয়া পর্যন্ত অপারেটর দু’টিকে কোনও এনওসি দেওয়া হবে না বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।