বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হওয়া ২৭ জন নারী-পুরুষ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। সংখ্যালঘুদের বিপদে পাশে দাঁড়ানোর জন্য তারা ট্রাম্পের কাছে কৃতজ্ঞতা জানান। একইসঙ্গে পেশ করেন নিজেদের অভাব-অভিযোগ। এসময় নিজেকে বাংলাদেশি পরিচয় দিয়ে এক নারী ট্রাম্পকে জানিয়েছেন, তার ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। জমি ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবু তিনি আইনের সুরক্ষা পাননি।
হোয়াইট হাউজের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার (১৭ জুলাই) একথা জানানো হয়। নিজেকে বাংলাদেশি পরিচয় দেওয়া ওই নারীর পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে ‘মিসেস সাহা’ নামে।
সাহা নিজের বক্তব্যের শুরুতেই ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, স্যার, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি। সেখানে সংখ্যালঘু হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানের বাস। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমি আমার দেশে থাকতে চাই।
ট্রাম্প বলেন, বাংলাদেশ?
সাহা তখন জবাব দেন, হ্যাঁ। এখনো সেখানে ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু মানুষ থাকে। আমার অনুরোধ, দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমরা দেশ ছাড়তে চাই না। সাহায্য করুন প্রেসিডেন্ট। আমি আমার বাড়ি হারিয়েছি। তারা পুড়িয়ে দিয়েছে। আমার জমি ছিনিয়ে নিয়েছে। কিন্তু কোনো বিচার হয়নি।
ট্রাম্প তখন সাহার কাছে জানতে চান, কারা জমি নিয়ে গেছে? কারা বাড়ি ও জমি দখল করেছে?
সাহা একটু ভেবে বলেন, মুসলমান উগ্রপন্থীরা। এবং তারা সবসময় রাজনৈতিক আশ্রয় পাচ্ছে। সবসময়।
ট্রাম্প মনোযোগ দিয়ে সাহার কথা শুনলেও আর কোনো জবাব দেননি। অন্য এক নারীর অভিযোগ শুনতে শুরু করেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে তুলে ধরা ওই নারীর বক্তব্য ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।