আমদানিতে শুল্ক আরোপের ফলে দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়তে শুরু করে। তবে এ সময় পাইকারি পর্যায়ে পাম অয়েলের দাম বাড়লেও সয়াবিন তেলের বাজার ছিল স্থিতিশীল।
সম্প্রতি বাড়তে শুরু করেছে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দামও। বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগেই আমদানি করা সয়াবিন তেল বেশি দামে বিক্রি করে বাড়তি মুনাফা তুলে নেয়ার প্রবণতা পণ্যটির দাম বাড়াতে প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে। একই সঙ্গে আসন্ন কোরবানি ঈদের আগে বাড়তি চাহিদার বিষয়টিও সয়াবিন তেলের সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির পেছনে ভূমিকা রাখছে।
বাজারসংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৯-২০ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ঘোষণার পর এক দফায় প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ২-৩ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছিল কোম্পানিগুলো। সম্প্রতি নতুন করে বোতলজাত সয়াবিনের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে তারা। এরই মধ্যে মাঠপর্যায়ে খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণার পাশাপাশি কিছু এলাকায় বাড়তি মূল্যে সয়াবিন তেলের বিক্রয় আদেশ দিয়েছেন কোম্পানি মনোনীত ডিলাররা।
এদিকে দেশে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন ট্রেডিং প্রতিষ্ঠানে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক মাসের ব্যবধানে পাম অয়েলের দাম মণপ্রতি (৩৭ দশমিক ৩২ কেজি) ১২০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি মণ পাম অয়েল বেচাকেনা হচ্ছে ১ হাজার ৯৭০ টাকায়। তবে বাজেটের পর আমদানিতে বাড়তি ভ্যাট আরোপ হলেও সয়াবিন তেলের দাম বাড়েনি। কয়েক মাস ধরেই প্রতি মণ সয়াবিন তেল বেচাকেনা হয়েছে মানভেদে ২ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ৮২০ টাকায়।
তবে কোরবানি ঈদ সামনে রেখে এরই মধ্যে বোতলজাত সয়াবিন তেলে দাম বাড়াতে শুরু করেছে কোম্পানিগুলো।
বাজারসংশ্লিষ্টদের মতে, কোম্পানিগুলো পাম অয়েলের বাড়তি দামের পরিপ্রেক্ষিতে সয়াবিন তেলের দামও বাড়িয়ে দিয়েছে। একই সঙ্গে আসন্ন কোরবানি ঈদের আগে বাড়তি চাহিদার বিষয়টিও ভোজ্যতেলের বাজারে প্রভাব ফেলেছে। এর জের ধরে ঈদের আগে পাম অয়েল ও সয়াবিন তেলের দাম বর্তমানের তুলনায় আরো বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা।