গত ৭ জুলাই লন্ডন থেকে হজের উদ্দেশে তারা যাত্রাও শুরু করে দিয়েছেন। তাদের সঙ্গী কেবল আটটি সাইকেল। খবর আনাদোলুর
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, গত ১৩ জুলাই তারা তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে এসে পৌঁছেছেন। এভাবে ধারাবাহিকভাবে ১৭টি দেশ অতিক্রম করে তারা পৌঁছে যাবেন মহানবীর শহর মদিনায়।
মদিনা থেকেই তারা হজ ও ওমরা পালনের প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন। তবে তারা যাত্রা পথে শুধু ইরাক ও সিরিয়া বিমানে পাড়ি দেবেন।
সাইকেল চালিয়ে ৪ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে মদিনায় পৌঁছতে তাদের সময় লাগবে প্রায় ৬০ দিন। তবে ১৭টি দেশের মধ্যে দুটি দেশ তারা সাইকেলে পাড়ি দিচ্ছেন না। জানা গেছে, শুধু ইরাক ও সিরিয়া বিমানে পাড়ি দেবেন এ আট হজযাত্রী।
অবশ্য সাইকেল চালিয়ে হজযাত্রার উদাহরণ এটাই প্রথম নয়। এর আগেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সাইকেলে একাকি কিংবা গ্রুপে এসেছে হজ পালনকারী গ্রুপ। লন্ডন থেকেই ২০১৭ সালেও একটি গ্রুপ সাইকেলে হজ পালনে পবিত্র নগরী মক্কায় যান।
এর পর ২০১৮ সালে কেনিয়ার নাইরোবি থেকে এক নারীসহ ৪ জনের একটি গ্রুপ একইভাবে সাইকেলে চড়ে হজ করতে গিয়েছিলেন। হজ ছাড়াও তাদের উদ্দেশ্য ছিল যাত্রা পথে বিভিন্ন দেশে কেনিয়ার শিক্ষা বঞ্চিত শিশুদের জন্য তহবিল সংগ্রহ করা।
শুধু সাইকেল নয় পায়ে হেঁটে হজ পালনে মক্কায় পৌঁছান বসনিয়ার এক ব্যক্তি। ২০১২ সালে সেনাদ হাদজিক নামের ৪৭ বছর বয়সী ওই বসনিয়ান নাগরিক পায়ে হেঁটে পবিত্র মক্কা নগরীতে গিয়ে পৌঁছান। এ যাত্রায় তাকে ৫ হাজার ৯০০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে পাড়ি দিতে হয়।