ইরান পারস্য উপসাগর দিয়ে চলা প্রতিটি মার্কিন নৌযানকে পর্যবেক্ষণে রাখছে বলে জানিয়েছেন দেশটির নৌবাহিনীর প্রধান।
দৈনিক নৌযান চলাচলের ছবির একটি বড় আর্কাইভও রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে ব্রিটিশ পতাকাবাহী একটি জাহাজ জব্দের পর দেশটি এমন ঘোষণা দিল।-খবর স্পুটনিক
ইরানের নৌ কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল হোসেইন খানজাডি বলেন, আমরা সব শত্রু জাহাজ পর্যবেক্ষণে রাখছি। বিশেষ করে আমেরিকার। যেখান থেকে তারা যাত্রা শুরু করে, সেখান থেকে পারস্য উপসাগরে প্রবেশ করার আগ পর্যন্ত প্রতিটি পয়েন্টে তারা নজরদারিতে থাকে।
এদিকে হরমুজ প্রণালিতে জাহাজ চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইউরোপীয় নেতৃত্বাধীন নৌ মিশনকে আহ্বান জানিয়েছে ব্রিটেন। বিপ্লবী গার্ডসের ব্রিটিশ জাহাজ আটকের ঘটনাকে রাষ্ট্রীয় দস্যুতা বলে আখ্যায়িত করেছে লন্ডন।
সরকারের জরুরি বিভাগ কোবরার সঙ্গে বৈঠকের পর পার্লামেন্টে পরিকল্পনার রূপরেখা দিয়েছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে, জাহাজ চলাচলের পথ রুদ্ধ করার অধিকার ইরানের নেই। যে কারণে এটি রাষ্ট্রীয় দস্যুতা। কাজেই এই গুরুত্বপূর্ণ জলপথ দিয়ে ক্রু ও কার্গোর নিরাপদ যাত্রার সমর্থনে ইউরোপীয় নেতৃত্বাধীন নৌপথ সুরক্ষা মিশনকে ঐক্যবদ্ধ করতে চাচ্ছি।
অনুমোদিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় সিগন্যাল বন্ধ রাখার মাধ্যমে জাহাজ চলাচলকে ঝুঁকিপূর্ণ করেছিল ব্রিটিশ তেল ট্যাংকারটি বলে অভিযোগ করেছেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ।
সহিংসতা শুরুর ক্ষেত্রে পশ্চিমাদের হুশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ইরানি সুপার ট্যাংকার জব্দের পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে ব্রিটেনের নৌযান জব্দ করা হয়নি।
তিনি বলেন, সংঘাত শুরু করা সহজ। কিন্তু শেষ করা অসম্ভব। এটি উপলব্ধি করা সবার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।