বাতিল হতে পারে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সদস্য এম সিকিউরিটিজের সদস্য পদ। গ্রাহকদের হিসেবে টাকা ঘাটতি থাকায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
আজ বিএসইসির ৬৯৪ তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিএসইসি সূত্র মতে, হাউজটিতে ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর গ্রাহকদের হিসাবে ঘাটতি ছিল ৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। যা চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারির মধ্যে সমন্বয় করার জন্য সময় বেধে দেয় কমিশন। এরপরে হাউজটি থেকে ২ দফায় আরও সময় বাড়ানোর আবেদন করা হলেও তা প্রত্যাখান করা হয়।
তবে চলতি বছরের ২৭ জুনের মধ্যে সব ঘাটতি সমন্বয় করা হয়েছে বলে গত ২ জুলাই কমিশনকে জানায়। কিন্তু ডিএসই পরীক্ষা শেষে ৯৮ লাখ টাকা ঘাটতি পায়। এর মাধ্যমে হাউজটি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৮৭ এর রুল ৮এ এর সাব রুলস (১) ও (২) ভঙ্গ করেছে। এছাড়া মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ রুলস, ১৯৬৯ এর সেকশন ১৮ ভঙ্গ করেছে।
যে কারনে কমিশন, হাউজটির বিরুদ্ধে সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (স্টক-ডিলার, স্টক-ব্রোকার ও অনুমোদিত প্রতিনিধি) বিধিমালা, ২০০০ এর বিধি ১২ মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। যে বিধিতে নিবন্ধন সনদ বাতিল ও স্থগিতকরন করার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।
এর আগে ২০১৭ সালের নভেম্বরে গ্রাহকের হিসাবে ঘাটতি, পরিচালকদের হিসাবে ঋণ প্রদান ইত্যাদি কারনে এম সিকিউরিটিজকে ২০ লাখ টাকা ও ২ পরিচালককে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। এছাড়া ২০১৮ সালের জানুয়ারিতেও প্রায় একই কারনে আরও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।