১১ দফা দাবিতে ডাকা ধর্মঘট যাত্রীদের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে স্থগিত করেছে নৌযান শ্রমিকরা।
বুধবার বিকালে শ্রম অধিদপ্তরে বৈঠক শেষে ধর্মঘট স্থগিতের ঘোষণা দেন নৌ-পরিবহনের বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মোহাম্মদ শুক্কুর মাহমুদ।
নিয়োগপত্র, ভাতা, চাঁদাবাজি বন্ধ করাসহ ১১ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেন মঙ্গলবার রাত থেকে। বুধবার সদরঘাট থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকে। এতে করে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে ১১ দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন করে আসছি। লঞ্চ মালিকপক্ষ শুধু আমাদের আশ্বাস দিয়েছে, কিন্তু বাস্তবায়ন করেনি আদৌ। গত এপ্রিল মাসে আমরা আন্দোলন করেছিলাম, ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলাম। মালিকপক্ষ বলেছিল, তারা ৪৫ দিনের মধ্যেই আমাদের দাবিদাওয়া পূরণ করে দেবে। কিন্তু এর মধ্যে ৯০ দিন অতিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত কোনো দাবিদাওয়া পূরণ করেনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা লাগাতার ধর্মঘট শুরু করি। ’
পরে শ্রম অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ধর্মঘট স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়।