লঞ্চ মালিকদের ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে মালিকরা বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিষয়টি সান বিডিকে নিশ্চত করেছেন মালিক সমিতির সচিব সিদ্দিকুর রহমান।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ধর্মঘট স্থগিত হওয়ার পর মালিকপক্ষের অঘোষিত ধর্মঘটে দক্ষিণ জনপদের জেলাগুলোর সঙ্গে ঢাকার লঞ্চ চলাচল কার্যত বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে একটি কোম্পানির কয়েকটি লঞ্চ ছাড়া অন্য কোনো মালিকের লঞ্চ ঢাকা সদরঘাট থেকে ছেড়ে যায়নি।চাঁদপুর ও বরিশাল নদীবন্দর থেকেও মালিকরা কোনো লঞ্চ ছাড়তে দেননি।
মালিকদের অভিযোগ, শ্রমিকরা ‘অযৌক্তিক’ দাবিতে বুধবার সারা দিন লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখায় তাদের ব্যবসায়িক ক্ষতি হয়েছে। মালিকানা তাদের হাতে থাকলেও শ্রমিকরা নিজেদের ইচ্ছেমত লঞ্চ চালাচ্ছে।
এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকালে শ্রম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে লঞ্চ মালিক সমিতির ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইদুর রহমান রিন্টু জানান।
১১ দফা দাবিতে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা ধর্মঘটে বুধবার সারাদিন সারা দেশে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকে।
প্রত্যেক শ্রমিককে মালিকের পক্ষ থেকে পরিচয়পত্র, নিয়োগপত্র ও সার্ভিস বুক, সামাজিক নিরাপত্তার জন্য জীবন বীমা, সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রভিডেন্ট ফান্ড, খোরাকি ভাতা, কর্মকালীন মৃত্যু হলে মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ, সমুদ্র ভাতা, মাস্টার ড্রাইভারদের ইনচার্জ ভাতার দাবি রয়েছে নৌযান শ্রমিকদের ওই ১১ দফার মধ্যে।
বুধবার দিনভর ধর্মঘটের পর বিকালে শ্রম অধিদপ্তরে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক শেষে ধর্মঘট স্থগিত করার ঘোষণা দেয় শ্রমিক ফেডারেশন। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে নৌযান শ্রমিকরা কাজে ফিরলেও মালিকরা বেঁকে বসেন।
বিআইডব্লিউটিএ-এর যুগ্ম-পরিচালক আলমগীর কবির বলেন, এমনিতে প্রতিদিন সদরঘাট থেকে ৭০টির মত লঞ্চ দেশের বিভিন্ন উদ্দেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা সদরঘাট থেকে ছেড়ে যায় কেবল এম ভি টিপুর চারটি লঞ্চ। আর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বরিশালগামী গ্রীনলাইন ছাড়া আর কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি।