ঈদে নিত্যপণ্যের মূল্য নির্ধারণ ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট

সান বিডি ডেস্ক প্রকাশ: ২০১৯-০৭-২৫ ১৮:২০:৫৪


ঈদ পর্যন্ত নিত্যপণ্যের মূল্য নির্ধারণ ও সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবিতে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছে সিসিএস । আসন্ন ঈদুল আযহা পর্যন্ত সরকারিভাবে পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ ও ঘোষণা করতে রিট আবেদন করেছে বেসরকারি ভোক্তা অধিকার সংস্থা ‘কনসাস কনজুমার্স সোসাইটি’ (সিসিএস)।

বুধবার সিসিএসের পক্ষে নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ হাইকোর্টের এফ.আর.এম. নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে,এম, কামরুল কাদের- এর বেঞ্চে (অ্যানেক্স-২৫) এ রিট আবেদন করেন।

আগামী রোববার (২৮ জুলাই) রিটটির শুনানি হতে পারে। সিসিএসের পক্ষে রিটের শুনানি করবেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ্যাডভোকেট মো. আব্দুল মোমিন।

এর আগে ঈদ পর্যন্ত কেন নিত্যপণ্যের সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ ও ঘোষণা এবং সিন্ডিকেট করে মূল্য বৃদ্ধিকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সরকারের তিন মন্ত্রণালয় ও দুই প্রতিষ্ঠানকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিল সংস্থাটি।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের (ডিএনসিআরপি) মহাপরিচালক ও ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) চেয়ারম্যানের কাছে তিন দিনের মধ্যে উত্তর চেয়ে সিসিএসের পক্ষ থেকে ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আব্দুল মোমিন। কিন্তু ওই নোটিশের কোনো উত্তর না পেয়ে এ রিট আবেদন করা হয়েছে। রিটে উপরের তিন মন্ত্রণালয় ও দুই প্রতিষ্ঠান ছাড়াও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে বিবাদী করা হয়েছে।

রিটে নিত্যপণ্যের সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণে কর্তৃপক্ষের নিষ্কৃয়তাকে বেআইনি ঘোষণা, সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ ও প্রচার, সিন্ডিকেট করে মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা ও প্রতিবছর রোজা ও ঈদের একমাস আগে নিত্যপণ্যের সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ ও ঘোষণার নির্দেশনার দাবি জানানো হয়েছে।

রিটে বলা হয়েছে, ঈদকে সামনে রেখে সম্প্রতি অনৈতিক ও অবৈধ সিন্ডিকেট করে বে-আইনিভাবে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিশেষতঃ পেঁয়াজের পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও মূল্য দ্বিগুণ করা হয়েছে। ফলে ভোক্তা সাধারণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং হচ্ছে। সম্প্রতি বিভিন্ন সরকারি কর্তৃপক্ষও বিষয়টি স্বীকার করে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো সরকারি কর্তপক্ষকে ফলপ্রসু পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। প্রতি বছর রোজা ও ঈদের আগে একই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এজন্য জনস্বার্থ বিবেচনা করে উপরোক্ত নির্দেশনা জরুরী।