বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচ ছাপিয়ে প্রথম ওয়ানডেটি হয়ে উঠেছিল লাসিথ মালিঙ্গার বিদায়ী ম্যাচ। গোটা ক্রিকেট বিশ্ব এই ম্যাচটি ঝাকড়া চুলের লঙ্কান কিংবদন্তির বিদায়ী ম্যাচ বলে। আর বিদায়ী ম্যাচে ‘নায়ক’ হওয়ার জন্য যা করার তার সবটাই করে গেলেন মালিঙ্গা। ৯১ রানে শ্রীলঙ্কা জিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের জয় স্বপ্নই রয়ে গেল। প্রথমে ব্যাট করা শ্রীলঙ্কার ৩১৪ রানের জবাবে বাংলাদেশের ইনিংস শেষ ২২৩ রানে।
এই ম্যাচে বাংলাদেশ মুলত ছিটকে পড়লো শুরুর ব্যাটিংয়েই! ১২ ওভারের মধ্যে ৩৯ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের পরবর্তী কাজটা হয়ে দাড়ালো সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার। সেই লড়াইয়ে সাব্বির ও মুশফিক ছাড়া বাকি সবাই ব্যর্থ। মিডলঅর্ডারে বাংলাদেশের এই দুই ব্যাটসম্যান ফিফটি করেন। বড় হার ঠেকাতেও পারেনি এই দুই ফিফটি। ঠেকাবে কি করে, বাকিরা যে ছিলেন যাওয়া আসার মিছিলে।
সাত বোলারের বোলিং এবং অধিনায়ক তামিমের বোলিং পরিকল্পনা-কোনো কিছুই এই ম্যাচে বাংলাদেশের জন্য সুখকর কিছু হয়নি। সৌম্য সরকার ৫ ওভারে ১৭ রানে ১ উইকেট তুলে নিলেন। তারপরও বোলিং কোটা পুরণ করতে পারেননি।
মাহমুদউল্লাহ করলেন মাত্র একওভার। অথচ তিনি বোলিং করার মতো ফিট বলে দাবি আছে। মোস্তাফিজ ২ উইকেট পেলেন। তবে ১০ ওভারে রান দিয়েছেন ৭৫! শফিউল ইসলাম প্রায় দু’বছর পরে দলে হঠাৎ ডাক পেয়ে এই ম্যাচে সফল বোলার। ৯ ওভারে ৬২ রানে তুলে নিলেন ৩ উইকেট।
শুরুতেই মালিঙ্গা তামিমকে ফেরালেন শূন্য রানে, সেই ট্রেডমার্ক ইর্য়কারে। খানিকবাদে সৌম্য সরকারের স্ট্যাম্পও উড়িয়ে দিলেন একই কায়দায়।
বাংলাদেশের ইনিংস ভাঙ্গার কাজ শুরু করেন মালিঙ্গা। বাকি কাজ সারেন নুয়ান প্রদীপ ও স্পিনার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। শেষ উইকেট নিয়ে ম্যাচের ফিনিংসটাও টানেন মালিঙ্গা। ৩৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বিদায় বেলাও ঠিকই রাঙিয়ে গেলেন শ্রীলঙ্কান এই কিংবদন্তি।