কোরবানির পশুর হাটে নগদ লেনদেনকে কেন্দ্র করে সক্রিয় হয়ে ওঠে নোট জালকারবারিরা। তাদের ঠেকাতে কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানের কোরবানির পশুর হাটে ২৪টি জালনোট শনাক্তকরণ বুথ বসানো হবে। একইসঙ্গে সারা দেশের সরকার অনুমোদিত কোরবানির পশুর হাটেও জালনোট শনাক্তকরণ বুথ বসানো হবে।
আজ মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে কোরবানির পশুর হাটে জালনোট শনাক্তকরণ বুথ বসানোর জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জালনোট শনাক্তকারী মেশিনের সহায়তায় অভিজ্ঞ ক্যাশ কর্মকর্তাদের দ্বারা হাট শুরুর দিন থেকে ঈদের আগ রাত পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে পশু ব্যবসায়ীদের বিনা খরচে নোট যাচাই সংক্রান্ত সেবা দিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে কোন ব্যাংককে কোন হাটে বুথ স্থাপন করতে হবে তা বলে দেওয়া হয়েছে।
আর ঢাকার বাইরের যেসব জেলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিস রয়েছে, সেখানে সংশ্নিষ্ট সিটি করপোরেশন, পৌরসভা বা থানার অনুমোদিত পশুর হাটগুলোতে ওই অফিস ব্যাংকের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন করে দেবে। যেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অফিস নেই, সেখানে সোনালী ব্যাংকের চেস্ট শাখা দায়িত্ব বণ্টনের কাজ করবে।
বুথে নোট যাচাইকালে কোনো জালনোট ধরা পড়লে, সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বুথে ব্যাংকের নাম ও তার সঙ্গে ‘জালনোট শনাক্তকরণ বুথ’ উল্লেখ করে ব্যানার বা নোটিশ প্রদর্শন করা।
একইসঙ্গে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি সম্বলিত ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সম্বলিত পোস্টারটি প্রদর্শন করতে হবে।