মিল্ক ভিটা, প্রাণ ডেইরি ও আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজের দুধ বিক্রিতে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা আগেই স্থগিত করেছিলেন চেম্বার আদালত। এবার আড়ং, আফতাব, ইগলুসহ বাকি ১১ কোম্পানির দুধ বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞাও স্থগিত ঘোষণা করেছেন একই আদালত। ফলে হাইকোর্ট যে ১৪টি কোম্পানিকে দুধ উৎপাদন, বিক্রি ও সরবরাহে পাঁচ সপ্তাহের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন, তাদের দুধ বেচাকেনায় আর কোনো বাধা থাকছে না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আজ বুধবার (৩১ জুলাই) চেম্বার বিচারপতি নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন আপিল আদালত এ আদেশ দেন। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন তিনি। আদালতে দুধ কোম্পানিগুলোর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে, রোববার (২৮ জুলাই) বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটের (বিএসটিআই) লাইসেন্সপ্রাপ্ত ১৪ কোম্পানির দুধ উৎপাদন, বিক্রি, সরবরাহ, মজুদ ও ক্রয় পাঁচ সপ্তাহ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি উৎপাদিত দুধে অ্যান্টিবায়োটিক ও ক্ষতিকর উপাদান থাকায় সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না— জানতে চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারি করেন আদালত।
তবে পরদিন সোমবারই (২৯ জুলাই) হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদনের শুনানি নিয়ে মিল্ক ভিটার দুধ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞায় আট সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দেন চেম্বার আদালত। পরদিন একই আবেদনের শুনানি শেষে প্রাণ ডেইরি ও আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজকেও পাঁচ সপ্তাহের জন্য নিষেধাজ্ঞায় স্থগিতাদেশ দেন তিনি। আজ সবগুলো কোম্পানিই দুধ বিক্রির অনুমতি পেল।
গত ১৪ জুলাই বিএসটিআইয়ের লাইসেন্সকৃত পাস্তুরিত দুধের নমুনা পরীক্ষা করে চারটি ল্যাব প্রতিষ্ঠানকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই সব ল্যাবে দুধের অ্যান্টিবায়োটিক, ডিটারজেন্ট, এসিডিটি, ফরমালিন ও অন্যান্য ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি আছে কিনা তা পরীক্ষা করার নির্দেশ দেন। এছাড়াও ওই প্রতিবেদন পৃথক পৃথকভাবে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়।
ওই আদেশের পর ২৩ জুলাই তিনটি প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। ২৪ জুলাই দাখিল করা হয় আরেকটি প্রতিবেদন।
পাস্তুরিত দুধ নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিস রিসার্চ, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) গবেষণা প্রতিবেদন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাজারে থাকা ৭৫ শতাংশ পাস্তুরিত দুধেই ভেজাল ধরা পড়ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি। এই প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ।
পাস্তুরিত দুধ নিয়ে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিস রিসার্চ, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) গবেষণা প্রতিবেদন বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাজারে থাকা ৭৫ শতাংশ পাস্তুরিত দুধেই ভেজাল ধরা পড়ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি। এই প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ।