৩১ ডিসেম্বরের পর হাজারিবাগে কোনো ট্যানারি থাকতে পারবে না: শিল্পমন্ত্রী
প্রকাশ: ২০১৫-১১-১৭ ১৫:৫৬:৪৮
আগামী ৩১ ডিসেম্বরের পর হাজারিবাগে কোনো ট্যানারি থাকতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
মঙ্গলবার শিল্প মন্ত্রনালয়ে সাভারে বাস্তবায়নাধীন ‘চামড়া শিল্পনগরি, ঢাকা’ প্রকল্পের সিইটিপি, ডাম্পিং ইয়ার্ডসহ অন্যান্য নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আয়োজিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ সময়ের মধ্যে হাজারিবাগ থেকে ট্যানারি স্থানান্তর না করলে বরাদ্দকৃত প্লট বাতিল করে দেয়া হবে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে এর পর হাজারিবাগের ট্যানারিগুলোতে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ সব ধরনের ইউটিলিটি সার্ভিসও বন্ধ করে দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
সভায় শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি উদীয়মান শিল্প হওয়া সত্ত্বেও পরিবেশবান্ধব না হওয়ায় এখনও চামড়া শিল্পের সুফল পুরোপুরি কাজে লাগানো যায়নি। রানা প্লাজা ও তাজরীন ফ্যাশনের দুর্ঘটনার পর তৈরি পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা সম্মিলিত উদ্যোগে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। চামড়া শিল্পখাতের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে তিনি এ দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে পরিবেশবান্ধব উপায়ে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব দেন।
সভায় জানানো হয়, ডিসেম্বরের মধ্যেই চামড়া শিল্পনগরিতে নির্মাণাধীন কেন্দ্রিয় বর্জ্য শোধনাগারের (সিইটিপি) দুটি মডিউলের নির্মাণ কাজ শেষ হবে। এর মাধ্যমে প্রায় ১শ’ ট্যানারির বর্জ্য পরিশোধন করা যাবে। এ সময় প্রয়োজনীয় বর্জ্য পেতে হলে, কমপক্ষে ৭০টি ট্যানারি চালু থাকতে হবে। দ্রুত ট্যানারি স্থানান্তরের জন্য ইতোমধ্যে ১০৭টি ট্যানারিকে ২০% এবং ০৪টি ট্যানারিকে ৬০% ক্ষতিপূরণের অর্থ দেয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে ট্যানারি স্থানান্তরের পাশাপাশি সিইটিপি নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করতে সভায় সংশ্লিষ্ট সকলকে তাগিদ দেয়া হয়।
সভায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হাজারিবাগ থেকে ট্যানারি স্থানান্তরের বিষয়ে ট্যানারি সংগঠনের নেতারা শিল্পমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন। তারা বলেন, পরিবেশ দূষণের অজুহাতে ইতোমধ্যে বিশ্ববাজারের ক্রেতারা হাজারিবাগে উৎপাদিত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য কেনা বন্ধ করে দিয়েছে। এ অবস্থায় নিজেদের স্বার্থেই হাজারিবাগ থেকে দ্রুত ট্যানারি স্থানান্তরে তারা আগ্রহী। তারা সাভারের চামড়া শিল্পনগরির নিরাপত্তা জোরদার, প্রবেশ গেইট ও সড়ক দ্রুত নির্মাণের তাগিদ দেন।
এ সময় সভায় শিল্পসচিব মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, বিসিক চেয়ারম্যান আহমদ হোসেন খান, বাংলাদেশ ফিনিস লেদার, লেদার গুডস্ অ্যান্ড ফুট ওয়্যার এক্সপোর্টারস্ এসোসিয়েশনের (বিএফএলএলএফইএ) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়অর এম আবু তাহের, বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশনের (বিটিএ) চেয়ারম্যান মোঃ শাহিন আহমেদসহ ট্যানারি শিল্প উদ্যোক্তা সংগঠনের নেতা, বিসিক, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বুয়েট, সিইটিপি নির্মাণকারী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধি ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস