সাধারণ নিয়মে যে যতো ভালো খাবে তত দ্রুত গর্ভবতী হতে পারবে। ভালো বলতে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে নারী এবং পুরুষের মাঝে খাবার এবং প্রজনন উর্বরতা সম্পর্কযুক্ত। তাই বাবা মা হবার সম্ভাবনা বাড়াতে চাইলে একটি সঠিক সুষম খাবার তালিকা অনুসরণ করা অত্যন্ত জরুরি।
আবার সেই সাথে কিছু খাবার বর্জন করাও জরুরি। কারন যখন এই খাবারগুলো বর্জন করা হবে তখন গর্ভবতী হবার সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে। অন্যদিকে এইসব খাবার গুলো বর্জন করলে গর্ভস্থ বাচ্চার যেকোনো সমস্যা থেকেও দূরে থাকা যাবে।
চারদিকে বিভিন্ন ভেজাল জিনিস এবং অস্বাস্থ্যকর খাবারের ভিড়ে যেকোনো কিছুতেই আসলে মানুষের প্রজনন উর্বরতা ব্যাহত হতে পারে। এছাড়া কিছু অভ্যাস যেমন ধূমপান, অ্যালকোহল পান ইত্যাদি ছাড়াও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গর্ভবতী হবার সম্ভাবনাকে ধবংস করতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তাই দম্পতিরা যখনি বাচ্চা নেয়ার পরিকল্পনা করবে তখন থেকেই এসব খাবার বর্জন করে একটি সুস্থ জীবনযাপন প্রণালী অনুসরণ অবশ্যই করতে হবে।
গ্যাস ড্রিঙ্কস বা সোডা:
এসব ড্রিঙ্কস গুলোতে অত্যাধিক পরিমান চিনি থাকে এবং এগুলো রক্তের শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি করে। তাই গর্ভবতী হতে চাইলে এসব ড্রিঙ্কস গুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে কারন এগুলো প্রজনন উর্বরতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
কফি আসক্তি থাকলে:
কফিতে থাকা অতিরিক্ত ক্যাফেইন আয়রন শোষণের ক্ষমতার উপর বাধা সৃষ্টি করে। আয়রন গর্ভবতী হবার জন্য এবং বাচ্চার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। তবে সারাদিনে এক কাপ খেলে সমস্যা নেই।
সয়া জাতীয় খাবার বাদ দিন:
কিছু গবেষণায় পাওয়া গেছে যে বেশি পরিমান সয়াবিন বা এর তৈরি খাবার গ্রহন করলে তা প্রজনন উর্বরতার ক্ষমতায় বাধা সৃষ্টি করে। তাই যদি কারো উর্বরতার সমস্যা থাকে তাহলে খাবার তালিকা থেকে সয়াবিন জাতীয় খাবার বাদ দিন।
সব ধরনের কাঁচা বা রান্না ছাড়া খাবার:
গর্ভবতী হবার পরিকল্পনা করার পর থেকেই কোনো ধরনের রান্না ছাড়া বা কাঁচা খাবার খাওয়া যাবে না। কম রান্না করা মাছ, মাংস এমনকি পাস্তুরাইজেশন ছাড়া পনিরও যদি খাওয়া হয় তাহলে সেটা থেকে স্যামোনেলা নামক এক ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত হবার ঝুঁকি যা ভ্রূণের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
মার্কারি যুক্ত মাছ:
যদি উচ্চ মার্কারিযুক্ত মাছ পছন্দ থাকে এবং বেশ বেশি পরিমান এগুলো খাওয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে অবশ্যই সেটা বাদ দিতে হবে। টুনা, হ্যালিবাট, সোর্ডফিস এই ৩ ধরনের মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। যদিও এই মাছ গুলো আমাদের দেশের মানুষ খুব একটা খায় না।
অ্যালকোহল পান:
প্রজনন উর্বরতায় অত্যন্ত সমস্যা সৃষ্টি করে অ্যালকোহল পান করলে এবং মিসক্যারেজও হতে পারে যদি এটার অভ্যাস নিয়ন্ত্রণে আনা না যায়। তাই অ্যালকোহল পান নারী এবং পুরুষ উভয়েরই বর্জন করতে হবে।
সূত্র: পারিবারিক, লেখক: জনস্বাস্থ্য পুষ্টিবিদ; এক্স ডায়েটিশিয়ান,পারসোনা হেল্থ; খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান(স্নাতকোত্তর)(এমপিএইচ); মেলাক্কা সিটি, মালয়েশিয়া।