পুরান ঢাকার প্রাচীনতম শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবি নজরুল সরকারি কলেজ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে এ কলেজের শিক্ষার্থীদের ছিল অসামান্য অবদান। কলেজটি ১৮৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলা ইতিহাসে উচ্চতাসম্পন্ন জনহিতৈষী হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন।
অনার্স ও ইন্টারমিডিয়েট প্রায় ৩৩ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। এখানে রয়েছে ২৪ বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করার সুযোগ। ১৯৯২ সাল থেকে কলেজটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছিল। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে ১৬ ফেরুয়ারি প্রতিষ্ঠানটিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। কলেজে ১৪৮ জন প্রশাসনিক কর্মকতা রয়েছেন। শিক্ষার্থীদের জন্য একটি গ্রন্থাগারও রয়েছে। শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা প্রদানে কলেজ ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে একটি চিকিৎসা কেন্দ্রও রয়েছে।
ঐতিহ্যবাহী এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি বছর বের হচ্ছে অনেক মেধাবী মুখ- নরুল ইসলাম (সাবেক উপরাষ্ট্রপতি ও বিচারপতি), কায়কোবাদ (কবি ও সাহিত্যিক), হারুন হাবীব (গেরিলা, মুক্তিযোদ্ধা), আবুল ফজলসহ (সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়) আরও কৃতি শিক্ষার্থী রয়েছেন।
কবি নজরুল কলেজে শহীদ শামসুল আলম হল নামে এটি ছাত্রাবাস রয়েছে, রয়েছে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ব্যবস্থা জন্য দুইটি দোতলা বাস।
শিক্ষাঙ্গনটি ১৮ একক জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে একটি খেলার মাঠ। মাঠের চারপাশে গাছের প্রাকৃতিক পরিবেশে শিক্ষার্থীদের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া, ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারের পাশে দেয়ালের ওপর পাথরে খোদাই করা হয় শিল্পের আলোয় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ও মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন প্রামাণ্য চিত্র।
কবি নজরুল কলেজের বিজ্ঞান ক্লাব, ডিবেটিং ক্লাব, চেস ক্লাব, ইংলিশ ক্লাব, সাংবাদিক সমিতি রয়েছে। শিক্ষকরা এখানে মডারেট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। পড়ালেখার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বরাবরই ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করে আসছে।