জাপানের বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশি দক্ষ কর্মী নিয়োগে একটি সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। দুই ক্যাটাগরির মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছর দেশটির ১৪টি খাতে বিশেষভাবে দক্ষ এবং জাপানিজ ভাষায় পারদর্শী বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ দেবে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) টোকিওতে জাপানের বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় পরিকল্পনা এজেন্সির সাথে বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একটি সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক জাহান এবং জাপানের বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয় অধীন ইমিগ্রেশন সার্ভিস এজেন্সির কমিশনার সোকো সাসাকি নিজ নিজ দেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।
সহযোগিতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা, জাপানের পলিসি প্লানিং ডিভিশনের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স দফতরের পরিচালক ইয়াসুয়াকি ইমাই, বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর এবং দুই দেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দক্ষ কর্মী প্রেরণকারী নবম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ জাপানের সাথে এ সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষর করল। এ বিষয়ে সচিব রওনক জাহান বলেন, সহযোগিতা স্মারক স্বাক্ষরের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত সাপেক্ষে জাপানে দক্ষ কর্মী প্রেরণের সুযোগ সৃষ্টি হবে, যা দুই দেশের জন্যই লাভজনক হবে।
দুটি ক্যাটাগরির মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছর কেয়ার ওয়ার্কার, বিল্ডিং ক্লিনিং ম্যানেজমেন্ট, মেশিন পার্টস ইন্ডাস্ট্রিজ, ইলেকট্রিক, ইলেক্ট্রনিক্স, কনস্ট্রাকশন, জাহাজ শিল্প, অটোমোবাইল, কৃষিসহ জাপানের ১৪টি খাতে বিশেষভাবে দক্ষ এবং জাপানিজ ভাষায় পারদর্শী কর্মীদের নিয়োগ দেয়া হবে।
প্রথম ক্যাটাগরিতে জাপানিজ ভাষার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও নির্দিষ্ট কাজে দক্ষতা থাকলে পরিবার ছাড়া জাপানে পাঁচ বছর কাজ করার সুযোগ পাবেন। দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে যাদের জাপানি ভাষা ও নির্দিষ্ট কাজে দক্ষতায় প্রথম ক্যাটাগরির কর্মী থেকে বেশি তারা পরিবারসহ অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য কাজ করার সুযোগ পাবেন।
সচিব জানান, সরকার জাপানের চাহিদা বিবেচনায় রেখে দক্ষ কর্মী তৈরিতে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছ। ইতোমধ্যে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সারাদেশে ২৬টি টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের মাধ্যমে জাপানি ভাষায় চার মাস মেয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স চালু করে। পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও জাপানি ভাষা শিক্ষার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
উভয়পক্ষ কর্মী প্রশিক্ষণ ও নিয়োগে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন বলেও জানান তিনি।