অবশেষে নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড (এসএলসি)। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খেলার জন্য সাতজন হাইপ্রোফাইল ক্রিকেটারকে ছাড়পত্র দিয়েছে বোর্ডটি।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে এবং দেশটির ঘরোয়া ওয়ানডে টুর্নামেন্ট এক সপ্তাহ পেছানোয় এই সিদ্ধান্ত দিয়েছে শ্রীলঙ্কা। এছাড়া দেশটির সিটিকেন্দ্রিক টি-২০ লিগে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদেরও চায় তারা। এই সিদ্ধান্তের এটিও অন্যতম কারণ বলে ধরা হচ্ছে।
বিপিএলে খেলার অনুমতি প্রাপ্ত শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা হলেন দিলকারত্নে দিলশান, সচিত্রা সেনানায়েকে ও অজন্তা মেন্ডিস, জীবন মেন্ডিস, চামারা কাপুগেদারা, থিসারা পেরেরা ও সেকুজি প্রসন্ন। সেইসঙ্গে কুমার সাঙ্গাকারা ও দিলশান মুনাবিরাতো থাকছেনই।
সাঙ্গাকারা কিছুদিন আগেই অবসর নিয়েছেন। আর মুনাবিরার সঙ্গে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের কোনো চুক্তি নেই। তাই এই টি-২০ আসরে তাদের খেলতে বোর্ডের কোনো অনুমতির দরকার নেই।
আগামী ২০ নভেম্বর শ্রীলঙ্কায় সীমিত ওভারের ক্রিকেট টুর্নামেন্টটি শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে কলম্বোর বিরুপ আবহাওয়ার কারণে সেটি ২৭ নভেম্বর শুরু হবে।
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড জানিয়েছে, কোনো কোনো ক্লাব রাজি হওয়ায় এই সাত ক্রিকেটারকে বিপিএলে খেলার অনুমতি দেওয়া গেছে। তাছাড়া কোনো কোনো খেলোয়াড় বিপিএলে খেলার জন্য আবেদনও করে। তাদের দাবি ছিল, বিপিএলে খেলার অভিজ্ঞতা তাদের আসন্ন ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপে সহায়তা করবে। এরপরই রয়েছে বিশ্বকাপ টি-২০।
এর আগে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের অনুপস্থিতিতে এই টুর্নামেন্ট বিফল হবে-এই ভেবে ক্রিকেটারদের বিপিএলে খেলার অনুমতি দিতে চায়নি শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড। বিপিএল ২২ নভেম্বর শুরু হয়ে চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।