গত কয়েকদিন ধরে দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ায় সেই ইলিশে ঠাসা এখন চাঁদপুরের প্রধান মৎস্য আড়ত। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ও শুক্রবারে (২০ সেপ্টেম্বর) প্রায় ৬ হাজার মণেরও বেশি ইলিশ চাঁদপুর থেকে মোকামে সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইলিশ ব্যবসায়ীরা।
চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাটে গিয়ে দেখা গেছে ইলিশের প্রচুর আমদানি। কিন্তু দাম খুবই চড়া। কেজিপ্রতি মণ ইলিশ ৩২/৩৫ হাজার টাকায় পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য সাইজের ইলিশের মণ ১৯/২২ হাজার টাকা। অর্থাৎ ছোট আকারের ইলিশ কিনতে হলে কেজি পড়ছে পাঁচশ টাকার উপরে। মধ্যম সাইজের ইলিশের কেজি ৭/৮শ টাকা।
ভোলার চরফ্যাশন সামরাজ ঘাটের ইলিশ পাইকার নেয়ামত বলেন, প্রায় ৩০ মণ ইলিশ বাবুল হাজীর আড়তে বিক্রি করেছেন। ভালো দাম পেয়ে খুশি।
তিনি আরও বলেন, গত তিনদিন দক্ষিণাঞ্চলের কালকিনি, ডালচর, সামরাজ, পাতিলা, মনপুরা, টুরকী এলাকায় জেলেরা বেশি ইলিশ পাচ্ছে। আগের বেশ কিছুদিন ইলিশ পেয়েছিল হাতিয়ার সাগর জেলেরা। এখন পাচ্ছে দক্ষিণের পটুয়াখালী, ভোলা ও বরিশালের জেলেরা।বাজারে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। চাঁদপুরের জেলেদের কপাল মন্দ। ভাদ্র আশ্বিনেও পদ্মা-মেঘনায় প্রত্যাশিত ইলিশের দেখা পাচ্ছে না জেলেরা। ছোট সাইজের ইলিশ পেলেও তাদের খরচ পর্যন্ত উঠছে না। ইলিশ না পেয়ে জেলার ৫১ হাজার জেলে পরিবার খুবই কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকি বলেন, চাঁদপুর মৎস্য আড়তে প্রচুর পরিমাণে ইলিশের আমদানি হচ্ছে। কিন্তু দাম কমছে না। আগামী ৯ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনার ৯০ কিলোমিটার এলাকায় মা ইলিশ প্রজননের জন্য অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়েছে। ওই সময় মা ইলিশ পেটে ডিম নিয়ে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় ধাবিত হবে এবং প্রজননের জন্যে ডিম ছাড়বে। সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ উপরে চলে আসবে পদ্মা-মেঘনায়। নিষেধাজ্ঞা সময়ে এসব নদীতে প্রচুর ইলিশের দেখা মিলে।
সানবিডি/ঢাকা/এবিএস