প্যারিস হামলার পর যখন গোটা পশ্চিম জুড়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে তখনই যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা দিয়ে হিজাব বানিয়ে আলোচনায় এসেছেন সাবা আহমেদ। মুসলমান ধর্মাবলম্বীরাও যে নিঃস্বার্থ দেশপ্রেমিক হতে পারে তা জানান দিতেই তার এ ব্যতিক্রমী হিজাব।
তার এই নতুন এই হিজাবকে এক ধরণের প্রতিবাদও বলা যেতে পারে। প্যারিস হামলার পর আমেরিকা জুড়ে গড়ে ওঠা মুসলিম বিরোধী প্রচারণার জবাব হচ্ছে তার এই হিজাব। ‘রিপাবলিকান মুসলিম আমেরিকান’ দলের প্রতিষ্ঠাতা সাবা আহমেদ জানান, মার্কিন মুসলিমদের ধর্মীয় আর সাংবিধানিক অধিকার সম্পর্কে সচেতন করতেই তার এ উদ্যোগ।
সম্প্রতি তিনি বিবিসি’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেন,‘আমি একেবারে শেষ মুহূর্তে এই অনুষ্ঠানে এটি পরে আসার সিদ্ধান্ত নেই। অনেকেই আমার এই হিজাবের প্রশংসা করেছেন। আমি তো প্রথমে বেগুনি রংয়ের হিজাব পড়তে চেয়েছিলাম।’ কিন্তু নিজের বক্তব্যকে জোরদার করতেই তিনি অনুষ্টানে শেষমেষ এই পতাকা হিজাব পরে আসেন।
এর আগে তিনি মার্কিন সংবাদ মাধ্যম ‘ফক্স নিউজ’য়ে হাজর হয়েছিলেন সাদা-নীল তারকা খচিত হিজাবে নিজেকে আবৃত করে।
প্যারিস হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের ২৭টির বেশি অঙ্গরাজ্য শিরীয় শরণার্থীদের গ্রহণে অস্বীকৃতি জানিয়েছে যাদের অধিকাংশই রিপাবলিকান গভর্নর দ্বারা শাসিত। সে দেশের মুসলিম সম্প্রদায় এবং তাদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতেও চালানো হচ্ছে হামলা। কেউ কেউ আবার সন্ত্রাবাদ দমনে দেশের মসজিদগুলো বন্ধ করে দেয়ারও দাবি জানিয়েছেন।
এসব অপতৎপরতার জবাব দিতেই এই পতাকা হিজাব গায়ে চড়িয়েছেন সাবা আহমদ। তার ভাষায়,‘আমরা মুসলিম এবং রিপাবলিকানদের সমর্থন করি। আমরা চাই আপনারা আমাদের উদারতার সঙ্গে গ্রহণ করবেন। আমরাও এই দেশ ও সংস্কৃতির সঙ্গে নিজেদের একত্রীভূত করার চেষ্টা করব।’
তার এই নতুন হিজাব আমেরিকার সামাজিক মাধ্যমগুলোতেও ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। একজন ইউজার ফেসবুকে লিখেছেন,‘ফক্স নি্উজে আমেরিকান পতাকা দিয়ে তৈরি হিজাব পরে সাবা সবার মন জিতে নিয়েছেন।’