মুন্সিগঞ্জের সিরাজদীখানে বিসিক বাস্তবায়নাধীন কেমিক্যাল পল্লী প্রকল্পে পুরান ঢাকার ক্ষুদ্র প্লাস্টিক শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য আলাদা জায়গা বরাদ্দ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
তিনি বলেন, পুরান ঢাকা থেকে ঝুঁকিপূর্ণ প্লাস্টিক শিল্প কারখানা স্থানান্তরের জন্য এ সুযোগ দেয়া হবে। একই সঙ্গে সরকার সম্ভাবনাময় প্লাস্টিক শিল্পখাত বিকাশে সম্ভব সব ধরনের নীতি সহায়তা অব্যাহত রাখবে।
সোমবার শিল্প মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিজিএমইএ) নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী কমিটির প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সাক্ষাৎকালে প্লাস্টিক শিল্পখাতের সম্ভাবনা ও সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ সময় দ্রুত প্লাস্টিক শিল্পনগরী প্রকল্প বাস্তবায়ন, একটি সময়োপযোগী প্যাকেজিং আইন প্রণয়ন, কেমিক্যাল পল্লীতে প্লাস্টিক সেক্টরকে অন্তর্ভুক্তকরণ, প্লাস্টিক শিল্পনীতি প্রণয়ন, প্লাস্টিক শিল্প উদ্যোক্তাদের দ্রুত পেটেন্ট নিবন্ধন প্রদান এবং এ খাতে পরিবেশ অধিদফতর সংশ্লিষ্ট সমস্যা সমাধানের বিষয়ে আলোচনায় হয়।
বিপিজিএমইএ নেতারা পুরান ঢাকা থেকে প্লাস্টিক শিল্প-কারখানা স্থানান্তরের জন্য দ্রুত প্লাস্টিক শিল্পনগরী স্থাপনের দাবি জানান। তারা বলেন, এ নগরীর জন্য নির্ধারিত ৫০ একর জায়গা প্লাস্টিক শিল্প-কারখানা স্থানান্তরের জন্য যথেষ্ট নয়। প্লাস্টিককে পেট্রোকেমিক্যাল জাত পদার্থ বিবেচনা করে কেমিক্যাল পল্লীর জন্য নির্ধারিত ৩১০ একর জমির মধ্যে ১শ’ একর জমি প্লাস্টিক শিল্প উদ্যোক্তাদের অনুকূলে বরাদ্দ দেয়ার দাবি জানান তারা।
প্লাস্টিক পণ্যের মালিকানা সুরক্ষায় দ্রুত পেটেন্ট নিবন্ধন দিতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এ সময় তারা প্লাস্টিক নীতিমালা প্রণয়নের জন্য অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে একটি খসড়া নীতি শিল্পমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি রফতানি আয়ের ক্ষেত্রে প্লাস্টিক শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। এ শিল্পকে রাজধানী থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে সরকার কাজ করছে। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্লাস্টিক শিল্পনগরী প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। খুব শিগরিরই প্লাস্টিক নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে।
এ ক্ষেত্রে বিপিজিএমইএসহ প্লাস্টিক শিল্প সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের মতামত নেয়া হবে। তিনি দ্রুততার সাথে এ শিল্পের পেটেন্ট নিবন্ধন সম্পর্কিত সেবা দিতে ডিপিডিটির কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
সাক্ষাৎকালে বিপিজিএমইএর নবনির্বাচিত সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, সহসভাপতি কেএম ইকবাল হোসাইন ও কাজী আনোয়ারুল হক, সাবেক সভাপতি শামীম আহমেদ ও মো. ইউসুফ আশরাফ, পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতরের (ডিপিডিটি) এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস