ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ বাধলে বিশ্ব অর্থনীতি চরম ধ্বংসের মুখে পড়বে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস)।
বিশ্বের দেশগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইরানকে রুখতে না পারলে তেলের দাম ‘অভাবনীয় পর্যায়ে’ উঠে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
পাশাপাশি তেহরানের সঙ্গে সামরিক নয়, রাজনৈতিক সমাধানেই তিনি আগ্রহী বলে জানিয়েছেন। রোববার সম্প্রচারিত মার্কিন টেলিভিশন নেটওয়ার্ক সিবিএসের ‘সিক্সটি মিনিটস’ অনুষ্ঠানে ৬০ মিনিটের এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন সৌদির এ ক্রাউন প্রিন্স। শাসক হিসেবে সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের পূর্ণাঙ্গ দায় নেয়ার কথা জানালেও ওই হত্যার নির্দেশ দেয়ার কথা অস্বীকার করেছেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে যুবরাজ বলেন, ‘বিশ্ব যদি ইরানকে নিবৃত্ত করতে দৃঢ় ও কঠোর পদক্ষেপ না নেয়, আমরা আরও উত্তেজনা দেখতে পাব, যা বিশ্বকেই হুমকিতে ফেলবে। তেল সরবরাহ বিঘ্নিত হবে এবং তেলের দাম এমন অকল্পনীয় আকাশচুম্বি অবস্থানে পৌঁছাবে, যা মানুষ জীবদ্দশায় দেখিনি।’
গত মঙ্গলবার দেয়া এ সাক্ষাৎকারে মোহাম্মদ বলেন, ১৪ সেপ্টেম্বর বিশ্বের বৃহত্তম জ্বালানি শোধনাগারসহ দুটি তেলক্ষেত্রে হামলায় ইরানের দায় নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর অবস্থানের সঙ্গে তিনি একমত।
তেহরানের সঙ্গে উত্তেজনা নিরসনের বিষয়ে এমবিএস জানান, ‘তিনি শান্তিপূর্ণ সমাধান চান, কেননা সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে যে কোনো যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিকে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে ফেলবে।
রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ সমাধান সামরিক উপায়ের চেয়ে বেশি ভালো।’ ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ও মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে দেশটির প্রভাব বিস্তার রোধে দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈঠক করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সময় রুহানি ও ট্রাম্পের মধ্যে বৈঠক আয়োজনে চেষ্টা করে ইউরোপের দেশগুলো। কিন্তু ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে দুই পক্ষের অনড় অবস্থানের কারণে ওই উদ্যোগ ব্যর্থ হয়।
তুরস্কের সৌদি কনস্যুলেটে খাসোগি হত্যাকাণ্ডের বর্ষপূর্তির কয়েকদিন আগে দেয়া সাক্ষাৎকারে ওই ঘটনার বিষয়টিও উঠে আসে।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস