চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ধারায় বাংলাদেশ ইতোমধ্যে সম্পৃক্ত হয়েছে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, টেকসই শিল্পায়নের লক্ষ্যে এ শিল্প বিপ্লবের সুফল কাজে লাগানো হবে। এ লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় খাতভিত্তিক দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশিয় শিল্প কারখানার প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বাড়াতে দশ বছর মেয়াদি ‘ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি মাস্টার প্লান’ প্রণয়ন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
বুধবার (০২ অক্টোবর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস ২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত 'বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় উৎপাদনশীলতা' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
শিল্পসচিব মোঃ আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনপিও'র ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। এতে অন্যদের মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব লুৎফুন নাহার বেগম এবং এনপিও’র বিদায়ী পরিচালক এস.এম আশরাফুজ্জামান বক্তব্য রাখেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ টেকসই আর্থসামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। এ অনন্য অর্জনের পেছনে এনপিও’র গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তিনি আন্তর্জাতিক বাজারের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি এখাতে যোগ্য প্রশিক্ষক গড়ে তোলার তাগিদ দেন। শিল্পায়নের অভিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে এনপিও’র কার্যক্রম আরও বেগবান করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
শিল্পসচিব বলেন, এসডিজির শিল্প সম্পর্কিত লক্ষ্য অর্জনে দক্ষতার সাথে সীমিত সম্পদ কাজে লাগানোর যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। এক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। এর মাধ্যমে কম খরচ ও কম সময়ে বেশি লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে। ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত শান্তিময় পৃথিবী গড়ে তুলতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, উৎপাদনশীলতার বিচারে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ তুলনামূলকভাবে এখনও পিছিয়ে রয়েছে। উৎপাদনশীলতার উন্নয়নে এনপিও প্রণিত মাস্টার প্লান বাস্তবায়নের মাধ্যমে আগামী চার বছরের মধ্যেই জাতীয় পর্যায়ে উৎপাদনশীলতা দ্বিগুণ করা সম্ভব। তারা খাতভিত্তিক উৎপাদনশীলতা বাড়াতে জাপানের টিকিউএম, কাইজেন, সিক্স সিগমা, ফাইভ-এস ইত্যাদি কার্যকর কৌশল অনুসরণের পরামর্শ দেন। এর মাধ্যমে দ্রুত উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে বাংলাদেশ শিল্পায়নের কাক্সিক্ষত গন্তব্যে পৌঁছে যাবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।
সানবিডি/ঢাকা/এবিএস