সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশিদের দোকানে হামলা করে প্রতিনিয়তই ঘটছে হত্যার ঘটনা। বছরে নিহত হচ্ছেন একশ’ এরও অধিক বাংলাদেশি।
ডয়চে ভেলে বাংলা জানায়, হামলার ঘটনা ছাড়াও ব্যবসা ও টাকা নিয়ে বিরোধ, বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক, ব্যক্তিগত বিবাদ ইত্যাদি কারণে দক্ষিণ আফ্রিকায় গত চার বছরে চারশ’র বেশি বাংলাদেশিকে হত্যা করা হয়েছে বলে দক্ষিণ আফ্রিকায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাব্বির আহমেদ চৌধুরী জানান।
দেশটিতে বাংলাদেশের দূতাবাস জানায়, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৮৮ জন বাংলাদেশির লাশ দেশে পাঠানো হয়েছে। ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে সংখ্যাটি মোট ৪৫২।
তবে নিহত অনেকের পরিবার মৃত্যুর বিষয় জানান না বলে প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি হতে পারে বলে বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি জানান।
বিবাদ মেটাতে বেশির ভাগ বাংলাদেশি ‘স্থানীয় গুন্ডা ভাড়া’ করেন বলেও জানান রাষ্ট্রদূত৷
বাংলাদেশের ঠিক কতজন নাগরিক প্রবাসে আছেন তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। বিএমইটি-র হিসাবে ১৯৭৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এক কোটি ২৬ লাখ মানুষ কর্মসংস্থানের জন্য দেশের বাইরে পাড়ি জমিয়েছেন। তবে কতজন ফিরে এসেছেন সেই পরিসংখ্যান নেই সেখানে।
খলিল মিয়া নামে এক অভিবাসী বাংলাদেশি জানিয়েছেন, স্থানীয়রা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখে থাকে।
তিনি বলেন, ‘যদিও আমরা তাদের চাকরি নিচ্ছি না, তবুও তারা আমাদের বন্দুক নিয়ে হামলা করে।’
জোহানেসবার্গে প্রবাসী বাংলাদেশিদের নেতা আব্দুল আওয়াল তানসেন বলেন, ‘অনেক বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। কিন্তু বিচার চাওয়া তো দূরের কথা, আমরা সেগুলো কাউকে জানাইনি। কারণ, আমাদের অনেকেই এখানে অবৈধভাবে বাস করছেন।’
চলতি শতকের শুরুর দিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিদের অভিবাসন শুরু হয়। এখন প্রায় তিন লাখ বাংলাদেশি সে দেশে বাস করছেন। তাদের অনেকেই অবৈধভাবে আছেন। অনেক বাংলাদেশি মুদি দোকান দিয়েছেন।
দূতাবাসের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এখানে যারা মারা গেছেন তাদের প্রায় ৯৫ শতাংশই হত্যার শিকার হয়েছেন। অনেককেই তাদের দোকানে গুলি করা হয়েছে।’
সানবিডি/ঢাকা/এসআই