[caption id="attachment_7082" align="aligncenter" width="864"] আসামের স্তুতি গ্রুপের একটি পরিবেশনা। ছবি: সংবাদ বিজ্ঞপ্তি[/caption]
বর্ণিল আয়োজনে রাজধানীর সেগুনবাগিচার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় শুরুহয়েছে ‘১ম আন্তর্জাতিক মৃত্তিকালগ্ন নাট্যোৎসব ঢাকা ২০১৫’। প্রথমবার অনুষ্ঠিত এই উৎসবে বাংলাদেশও ভারতের পূর্বাঞ্চলের ১৫টি নাট্যদল অংশ নিচ্ছে। আগামী ১৯ থেকে ২৬ নভেম্বর জাতীয় নাট্যশালারমূল হল, পরীক্ষণ থিয়েটার হল ও নন্দনমঞ্চে একযোগে এই উৎসব চলবে।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুলমাল আবদুল মুহিত। উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন রামেন্দুমজুমদার, আতাউর রহমান, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, প্রবীর গুহ, ইন্দিরাগান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রেরপরিচালক জয়শ্রী কুন্ডু, আসামের শিল্পী পুরবী কাকতী শর্মা। উৎসব কমিটির আহ্বায়ক লিয়াকত আলীলাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উৎসব কমিটির সদস্য সচিব কামাল বায়েজিদ।
উৎসবের উদ্বোধনী সন্ধ্যায় বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সমন্বয়ে নৃত্য পরিবেশন হয়। এছাড়া আসামের স্তুতি গ্রুপ তাদের নাট্যক্রিয়া পরিবেশন করে। উৎসবের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় নন্দনমঞ্চে থাকবে আসামের স্তুতি গ্রুপ, ত্রিপুরার য়ামুক এবং বাংলাদেশের মণিপুরি থিয়েটারেরপরিবেশনা। সন্ধ্যা ৬টায় পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হবে মণিপুরি থিয়েটারের নাটক `লেইমা'।নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন শুভাশিস সিনহা। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মূল মঞ্চে থাকবে আসামের পূর্ববঙ্গ'রপরিবেশনা।
৮ দিনব্যাপী এই নাট্যোৎসবে বাংলাদেশ ও ভারতের ১৬টি বৈচিত্র্যময় নাট্যক্রিয়ার প্রদর্শন করবেবিভিন্ন নাট্যদল। বাংলাদেশের চাকমা, মণিপুরী, ত্রিপুরা, সাঁওতাল, গারো, মারমা, ওঁরাও, ভারতেরঅসমিয়া, খাসিয়া, বড়ো, মণিপুরী, ত্রিপুরা, মিজো, ঝাড়খণ্ড ও ছৌ মৃত্তিকালগ্ন গোষ্ঠীর নাট্যদলসমূহতাদের প্রশংসিত নাটক মঞ্চায়ন করবে এই নাট্যোৎসবে।
নাট্যোৎসবে প্রতিদিন বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নন্দনমঞ্চে রয়েছে আমন্ত্রিত দেশী ওবিদেশী নাট্যদলসমূহের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এ পরিবেশনা সকল দর্শকের জন্য উন্মুক্তথাকবে। প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টায় পরীক্ষণ থিয়েটার হলে রয়েছে বাংলাদেশের মৃত্তিকালগ্ন সম্প্রদায়েরপরিবেশনায় নাটক এবং সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় জাতীয় নাট্যশালার মূল হলে রয়েছে ভারতীয় নাট্যদলসমূহের পরিবেশনায় নাটক।
এই আয়োজনে সহযোগিতা করছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, ইউনেস্কো (ঢাকা অফিস), বাংলাদেশ ভারত ফাউন্ডেশন ও চ্যানেল আই, নিউ জড়োয়া হাউস, সিম্ফোনি, আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতাল, ফিন্স, রেডিও ভূমি, ইউনিভার্সেলমেডিকেল কলেজ, দি প্যালেস লাক্সারি রিসোর্ট, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।