এই বৃষ্টি এই রোদ! প্রকৃতির রঙ বদলে মানুষকে পরতে হয় বিপাকে। আর যাদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা রয়েছে, তাদের এই মৌসুমে সব থেকে বেশি কষ্ট পোহাতে হয়। তবে আর কষ্ট নয়, এই সমস্যার সমাধানে রয়েছে চমৎকার উপায়।
প্রাচীন কাল থেকে কালোজিরা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এতে থাকা বিভিন্ন উপাদান শরীরের নানাবিধ অসুখ সারাতে দারুণ কার্যকরী। চলুন জেনে নেয়া যাক এর কার্যকারিতা সম্পর্কে-
কালোজিরায় থাকা আয়রন ও ফসফেট শরীরে অক্সিজেনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা সারাতেও কালোজিরার তুলনা নেই।
অনেকেরই আবহাওয়ার পরিবর্তন বা বর্ষায় ঠান্ডা লেগে মাথা ব্যথার সমস্যা হয়। এই সমস্যা সমাধানে কালোজিরা দারুণ ভূমিকা রাখে।একটা ছোট কাপড়ে কালোজিরা বেঁধে সেটি রোদে শুকোতে দিন। ঘণ্টা খানেক রোদে রাখার পর কালোজিরা ভরা কাপড়ের টুকরাটি নাকের কাছে ধরলে বুকে, মাথায় জমে থাকা কফ তরল হয়ে সহজে বেরিয়ে যায়। এতে মাথা ধরা বা ঝিম ঝিম ভাব দূর হয়ে যায়।
কালোজিরাতে উপস্থিত ফসফরাস শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া শরীরের যেকোনো জীবাণুর সংক্রমণ প্রতিরোধ করতেও এটি বেশ কার্যকরী।
পেটের সমস্যা নিরাময়ে কালোজিরার তুলনা নেই। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা অনুযায়ী, আধা কাপ দুধের সঙ্গে এক চিমটি কালোজিরার গুঁড়া মিশিয়ে খেতে পারলে পেটের সমস্যা থেকে দ্রুত রেহাই পাওয়া যায়।
কালোজিরা শরীরে অ্যান্টি টক্সিনের মতো কাজ করে। এ কারণে প্রস্রাব স্বাভাবিক, নিয়মিত ও পরিষ্কার রাখতে কালোজিরা যথেষ্ট ভূমিকা রাখে।