খুলনার বাজারে এখন পচা পেঁয়াজের ছড়াছড়ি। বাজারে পেঁয়াজের দাম এখনো বেশি। ফলে এক শ্রেণির ক্রেতার কাছে কদর পাচ্ছে কম দামের পঁচা পেঁয়াজও।
ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ এক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন বর্ডারে ট্রাকভর্তি অবস্থায় আটকা পড়ে থাকায় অধিকাংশ পেঁয়াজই পচতে শুরু করে। গুণগত মান খুবই খারাপ। খুলনার পাইকারী ও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে এসব পেঁয়াজ।
৩০ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করেই ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে। এর মাত্র দু’দিনের মধ্যেই খুলনার খুচরা বাজারগুলোতে সবধরণের পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। কেজিপ্রতি দেশি পেঁয়াজ ২৫ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ১৫ টাকা বৃদ্ধি পায়। এ অবস্থায় ফের ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি শুরু হলে কমতে শুরু করে পেঁয়াজের দাম।
সূত্র জানায়, ভারত থেকে ভোমরা, হিলি, বেনাপোলসহ বিভিন্ন বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণার পর আগের এলসিতে আমদানি করা ট্রাক ভর্তি পেঁয়াজ বর্ডারেই আটকে দেয়া হয়। ফলে বন্দরগুলোতে পেঁয়াজ পচতে শুরু করে। পরে বিশেষ প্রক্রিয়ায় ছাড় করা হলেও এখন সেই পচা পেঁয়াজ খুলনার মোকামে এসেছে। আর ব্যবসায়িরা এসব পেঁয়াজ বিভিন্ন খুচরা বাজারে বিক্রি করছেন।
নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে মঙ্গলবার প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর খুচরা বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে বিক্রি হয়।
গত রোববার খুলনায় ১০ থেকে ১২ ট্রাক ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। গত দু’দিন ধরে খুলনায় কোনো পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। তবে সোমবার নগরীর বড় বাজারের মোকামগুলোতে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৭০ টাকা এবং ভারতীয় নিম্নমানের পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
নগরীর বড় বাজারে আসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি জাহিদুল ইসলাম খলিফা বলেন, ‘পেঁয়াজের বাজার নামতে শুরু করেছে। তবে, এখন খুলনায় যেসব ভারতীয় পেঁয়াজ আসছে অধিকাংশ পেঁয়াজ পচে নষ্ট হয়ে গেছে। যার গুণগত মান খুবই খারাপ। সেসব পেঁয়াজ বিভিন্ন খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে।’
নগরীর ময়লাপোতাস্থ কেসিসি সন্ধ্যা বাজারে আসা ক্রেতা মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, ‘খুচরা বাজারে এখন যেসব ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে তার অধিকাংশেরই মান খারাপ। বাজারে ভারতীয় পচা পেঁয়াজই বেশি বিক্রি হচ্ছে।’
বড় বাজারের মেসার্স ফরাজী ট্রেডিং এর স্বত্ত্বাধিকারী আমদানিকারক মোঃ মিলন ফরাজী বলেন, ‘ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছিলে। পরবর্তীতে পেঁয়াজ রপ্তানি শুরু করলে পেঁয়াজের দাম নামতে শুরু করে।’
তিনি বলেন, ‘ভারত থেকে ভোমরা, হিলিসহ বিভিন্ন বন্দরে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজ রপ্তানি বেশি হয়। ফলে এসব বন্দরে আটকে পড়া পেঁয়াজ পচতে শুরু করে। এখন সেসব পেঁয়াজ ট্রাকযোগে খুলনার মোকামে আসছে। ব্যবসায়িরা এসব পেঁয়াজ কমদামে কিনে বিভিন্ন খুচরা বাজারে বিক্রি করছেন।’
সানবিডি/ঢাকা/এসএস