বাংলাদেশে চলতি অর্থবছরে (২০১৯-২০) মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২ শতাংশ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম।
গত বছর একই সময়ে ৮ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে জানিয়েছিল সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এতে প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ বার্নাড হ্যাভেন। বক্তব্য দেন কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন।
মার্সি টেম্বন বলেন, বাংলাদেশ ইতিবাচক গতিতে এগোচ্ছে। ২০০৭ সালে এসেছিলাম তখন বাংলাদেশ এ অবস্থায় ছিল না। বাংলাদেশ অনেক বিনিয়োগ করেছে। ধীরে ধীরে সুফল পাওয়া যাবে।
বিশ্বব্যাংক বলছে, একই সময়ে কৃষি খাতে ৩, শিল্পে ৯ ও সেবা খাতে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। বিশ্বব্যাংকের হিসাব মতে কৃষি ও শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি কমছে। গত অর্থবছর একই সময়ে কৃষি ৩ দশমিক ৫ , শিল্পে প্রবৃদ্ধি ছিল ১৩ দশমিক ০ শতাংশ। তবে সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি ছিল সাড়ে ৬ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংকের সাবেক লিড ইকোনোমিস্ট জাহিদ হোসেন বলেন, বর্তমানে বিশ্ববাজারে দুর্বলতা বিরাজ করছে। বিক্রয়মূল্য কমে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে। যুক্তরাষ্ট্রে চায়নিজ শুল্ক বসানো হচ্ছে। ক্রেতারা এখন সস্তায় বাজার খুলছে। মূল্য প্রতিযোগিতায় আমাদের সক্ষমতা কমে যাচ্ছে। বাজার সস্তা হয়ে যাচ্ছে। ভিয়েতনাম ও ভারতের সঙ্গে পেরে ওঠা যাচ্ছে না। এসব মোকাবেলা করা অন্যতম চ্যালঞ্জ।
সরকারের চলমান কাজ বাস্তবায়নে জোর দিতে বলেন জাহিদ হোসেন।
অন্যদিকে একই সময়ে সরকার বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। ফলে সরকার প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবে না বলে পূর্বাভাস দিল সংস্থাটি।
সানবিডি/ঢাকা/এসআই