বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের জের ধরে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি শিক্ষকদের আন্দোলনে ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বুয়েটে আবরার হত্যাকাণ্ড ছাড়াও এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে, তখন শিক্ষক ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন কোথায় ছিলেন? তখন তারা কেন আন্দোলনে নামেনি? কেন এখন সকলে মিলে আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন? এটি আমার কাছে রহস্যজনক।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ‘গ্লোবাল এডুকেশন মনিটরিং রিপোর্ট ২০১৯’ প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বুয়েটের চলমান অস্থিরতা বুয়েট প্রশাসনের মাধ্যমে নিরসন করতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কিছু চাপিয়ে দেয়া হবে না। বুয়েট ভিসির পদত্যাগ করা, না করাটা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওপর নির্ভর করে না। এটি সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত।’
তিনি বলেন, ‘বুয়েটের ছাত্ররা যেসব দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করছে তাতে আমাদের কিছু করার নেই। বুয়েট প্রশাসনের মাধ্যমে তা সমাধান করতে হবে।’
এক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বুয়েটের ছাত্রলীগ ছাড়াও সেখানে অন্যান্য শক্তিশালী ছাত্রসংগঠন রয়েছে। এর আগে তাদের কখনো আন্দোলনে নামতে দেখা যায়নি। বুয়েটের ছাত্রসংগঠন থাকবে কি থাকবে না সেটি বুয়েট প্রশাসনকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কিছু চাপিয়ে দেয়া হবে না।’
বুয়েট ভিসির পদত্যাগের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘ভিসির আর কয়েক মাস মেয়াদ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সরানো হবে কি হবে না সেটি সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কিছু করণীয় নেই। তবে আবরার ঘটনায় আমি লজ্জিত। মেধাবী এমন একজন শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে মারায় দেশের মানুষ মর্মাহত।’
এ সময় শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সানবিডি/ঢাকা/এবিএস