উত্তর সিরিয়ায় তুরস্কের সামরিক অভিযানের মধ্য দিয়ে কার্যত দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ানকে ‘ভয়ঙ্কর এক ফাঁদে’ ফেলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মিডলইস্ট আই জানায়, এ অভিযান বন্ধে তুরস্কের ওপর ‘শক্তিশালী অর্থনৈতিক অবরোধ’ আরোপে অর্থ মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দিয়ে নির্বাহী আদেশে সই করেছেন ট্রাম্প।
অথচ কুর্দি পিকেকে যোদ্ধাদের বিতাড়ন এবং সিরীয় শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনে ‘সেইফ জোন’ প্রতিষ্ঠার জন্য এই অভিযান পরিচালনায় ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দিয়েছিলেন ট্রাম্প। এজন্য সীমান্তবর্তী এলাকায় মোতায়েনকৃত মার্কিন সেনাদেরও সরিয়ে নেওয়া হয়।
কিন্তু এ সিদ্ধান্তের কারণে নিজ দল থেকেই প্রবল চাপের মুখে পড়েন ট্রাম্প। পরিস্থিতি সামাল দিতে একের পর এক পরস্পর বিরোধী টুইট করে আসছিলেন তিনি। তুরস্ক অভিযানে ‘বাড়াবাড়ি করলে’ দেশটির অর্থনীতি ধসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন ট্রাম্প।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মুচিন বলেন, ‘শক্তিশালী অবরোধ’ আরোপে কর্তৃত্ব পেয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এ অবরোধ আরোপ করা হলে তুরস্কের অর্থনীতি ‘অচল’ হয়ে যাবে।
এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এগুলো খুবই শক্তিশালী অবরোধ। আমরা আশা করছি এগুলো আরোপ করতে হবে না। কিন্তু প্রয়োজন হলে আমরা তুরস্কের অর্থনীতি অচল করে দিতে পারি।’
মার্কিন অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নোটিশ দিয়েছি। তাদের সতর্ক থাকা উচিত। অবরোধ আরোপের সম্ভাবনা আছে।’
এদিকে অব্যাহত চাপের মুখেও অভিযান চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে অনড় তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান। তিনি বলেছেন, তিনি ‘থামবেন না’।
তাকে উদ্ধৃত করে বার্তা সংস্থা এএফপি বলেছে, ‘ডান-বাম সব দিক থেকে এখন হুমকি আসছে। কিন্তু আমরা পিছু হটবো না।’
উত্তর সিরিয়ায় তুরস্কের ‘অপারেশন পিস স্প্রিং’ শনিবার চতুর্থ দিনে প্রবেশ করেছে। এ অভিযানে এখন পর্যন্ত ৪১৫ কুর্দি যোদ্ধা নিহত অথবা আটক হয়েছেন বলে জানিয়েছে তুর্কি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
অন্যদিকে কুর্দি যোদ্ধাদের হামলায় এক তুর্কি সেনা নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। পাশাপাশি তুরস্কের হয়ে লড়া বেশ কয়েকজন সিরীয় বিদ্রোহীও নিহত হয়েছেন। এছাড়া তুরস্কে কুর্দি যোদ্ধাদের গোলাবর্ষণে এক শিশুসহ তিন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
সানবিডি/ঢাকা/এসআই