অটোরিক্সা নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। ভাড়া নির্ধারণে মিটার থাকলেও চালকদের বেশিরভাগই তা মানেন না। এবার গণমাধ্যমে উঠে এসেছে অটোরিক্সার নম্বর বাণিজ্যের খবর। নতুন একটি অটোরিক্সার দাম ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কিন্তু সেটির কাগজপত্র ঠিক করতে হলে আরও ১০-১২ লাখ গুণতে হয়। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) নতুন করে সিএনজি অটোরিক্সার রেজিস্ট্রেশন দিচ্ছে না তাই আগের মালিকেরাই চালাচ্ছেন এই নম্বর বাণিজ্য।
গাড়ি মালিকদের নির্দেশে সেই বাড়তি অর্থ চালকদের তুলতে হয় যাত্রীদের কাছ থেকে। অটোরিক্সাচালকদের দাবি, এ বিষয়ে বিআরটিএ পদক্ষেপ নিলে তাদের মিটারে গাড়ি চালাতে কোনো আপত্তি নেই।
২০০১ সালে বেবিট্যাক্সি ও টেম্পো তুলে দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ওই মালিকদের নামেই সিএনজি অটোরিক্সা বরাদ্দ করে সরকার। রাজধানীতে চলছে ১৫ হাজার অটোরিক্সা যার মালিক দুই থেকে আড়াই হাজার। আর এদের হাতেই নম্বর বাণিজ্য।
পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. সামছুল হক বলেন, একটা কোম্পানিকে ৫ হাজার সিএনজি দেয়া গেলে চালকের সাথে কথা বলার প্রয়োজন পড়তো না। মালিককে বলতে পারতো, নিয়ম না মানলে রুট পারমিট বাতিল করে দেব।
বিআরটিএ-র রোড সেফটি পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ দিলে অবশ্যই আমরা তার রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে দেব।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস