পুঁজিবাজারের চলমান সংকট উত্তরণে সক্রিয় হচ্ছে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। বিনিয়োগে সক্রিয় হবে প্রতিষ্ঠানটি। সোমবার (১৪ অক্টোবর) আইসিবি ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) বৈঠকে এ কথা বলেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হোসেন।
বৈঠক সূত্র জানা গেছে, সোনালি ব্যাংক থেকে পাওয়া আইসিবি ২০০ কোটি টাকা পাবে। এর পুরোটাই সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। এছাড়া আইসিবিসহ সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানগুলোও পুঁজিবাজারে সামর্থ্য অনুযায়ি বিনিয়োগ করবে।
ডিবিএর সভাপতি শাকিল রিজভী বলেন, পুঁজিবাজারের মূল্য-আয় অনুপাত (পিই) এখন বটম লাইনে চলে এসেছে। ডিএসইর পিই ১২ এর কাছে অবস্থান করছে। এর আগে ১২ পিইতে আসার পরে পুঁজিবাজার ঘুরে দাড়িঁয়েছে। এবারও স্বাভাবিকভাবেই ঘুরে দাড়াঁবে বলে আশাবাদী তিনি। এছাড়া পুঁজিবাজার বর্তমান অবস্থা থেকে ঘুরে দাড়াঁবে বলে আইসিবির বিশ্লেষক টিমও মনে করছে।
তিনি বলেন, সোনালি ব্যাংক থেকে আইসিবি আজকে (১৪ অক্টোবর) ২০০ কোটি টাকা পেয়েছে। যার পুরোটাই সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ করবেন বলে আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হোসাইন সভায় জানিয়েছেন। এছাড়া আইসিবিসহ এর সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানগুলোও সামর্থ্য অনুযায়ি বিনিয়োগ করবে বলে জানিয়েছেন। তবে সেটা ভালো কোম্পানিতে বিনিয়োগের জন্য পরামর্শ দিয়েছি।
বাজারের আকার বড় হয়ে যাওয়ায় এখন আইসিবির পক্ষে এককভাবে প্রত্যক্ষ সাপোর্ট দেওয়া সম্ভব হয় না বলে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তাই আইসিবির মতো আরেকটি প্রতিষ্ঠান গঠন বা ২০-২৫ জন বাজার সৃষ্টিকারী (মার্কেট মেকার) তৈরী করা দরকার। বিষয়টি নিয়ে কমিশনেও আলোচনা করা হবে বলে জানান শাকিল রিজভী।
এদিকে আইসিবির ন্যায় ব্রোকাররাও শেয়ারবাজারে সামর্থ্য অনুযায়ি ভূমিকা রাখবেন বলে সভায় জানিয়েছেন শাকিল রিজভী। তিনি বলেন, আগামিতে ইস্যু আনার ক্ষেত্রে আইসিবি ইনভেষ্টমেন্টকে কার্যকরি ভূমিকা রাখার অনুরোধ করা হয়েছে। যাতে শেয়ারবাজারে ভালো কোম্পানি আসে এবং যৌক্তিক দরে আসে। বৈঠকে ডিবিএ ও আইসিবির শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।