আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) থেকে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করবে পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় নির্মাণাধীন পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চূড়ান্তভাবে উৎপাদন যাবে ডিসেম্বরে। তবে তার আগেই পরীক্ষামূলক উৎপাদন দেখতে চান তারা। উৎপাদন শুরুর প্রথম পর্যায়ে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে বলে জানা গেছে।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, দুই ইউনিটে ভাগ করে নির্মাণ কাজ এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রটি। এরমধ্যে ইউনিট-১ উৎপাদন শুরু করতে চায় আসছে ডিসেম্বরেই। সে লক্ষ্যে দ্রুত কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক শাহ মো. গোলাম মাওলা।
তিনি জানান, এরই মধ্যে প্রকল্পের ইউনিট-১ ও ইউনিট-২ এর টারবাইন- জেনারেটর বসানোর কাজ শেষ। প্রকল্পের মালামাল লোড-আনলোডের জন্য জেটির কাজও শেষ করা হয়েছে। এছাড়াও প্লান্টের গুরুত্বপূর্ন ওয়াটার ইন্টেক, কোল ডোম, কুলিং টাওয়ার, পানি পরিশোধন প্লান্ট, কনভেয়ার বেল্টসহ, বিদ্যুৎকেন্দ্রের অন্যান্য কাজও শেষের দিকে। ডিসেম্বরের আগেই বাকি কাজ শেষ করে প্রথম ইউনিট উৎপাদনের জন্য খুলে দেওয়া সম্ভব হবে। আর এখান থেকে উৎপাদন হওয়া ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে গোপালগঞ্জের সাবস্টেশনে। সেখান থেকে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ হবে।
দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে ২০১৬ সালে ২ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ নিয়ে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া এলাকায় কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয় সরকার। ১ হাজার ২ একর জমিতে বাংলাদেশের নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি এবং চীনের ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন (সিএমসি) যৌথভাবে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করছে।
তিন বছর মেয়াদী প্রকল্পটি চলতি বছরের মাঝামাঝিতে শেষ করার কথা থাকলেও প্রকল্পে কর্মরত শ্রমিক অসন্তোষের কারণে প্রায় ছয় মাস কাজ পিছিয়ে যায়। সেসব কাটিয়ে এ বছরের ডিসেম্বরে প্রকল্পের প্রথম ইউনিট চালুর চিন্তা করছেন সংশ্লিষ্টরা। আর প্রথম ইউনিট চালু হলে সেখান থেকে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। আর বাকি ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে ২০২০ সালে। সব মিলিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে।
সানবিডি/ঢাকা/এবিএস