বাংলায় একটা প্রবাদ বাক্য আছে, দরজা দিয়ে অভাব এলে ভালোবাসা জানলা দিয়ে পালায়। কথাটা কতটা খাঁটি তা নিয়ে অল্প বিস্তর তর্ক বিতর্ক থাকতেই পারে। কিন্তু অনেকেই যে এ বাক্যকে মেনে নিয়েছেন তা বলার অপেক্ষা থাকে না। তাই বিয়ে করার আগে ভবিষ্যৎ জীবন যাতে সুখের হয় সে ব্যাপারে নিশ্চিত হবে। আসুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে তা সম্ভব।
বিয়ের আগেই হবু স্বামী স্ত্রী-র মধ্যে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা করে নেওয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে দুশ্চিন্তা না থাকে। বিয়ের পর স্বামী স্ত্রী-র উচিত অর্থনৈতিক ভাবে তাঁদের পরবর্তী পরিকল্পনাগুলি ঠিক করে নেওয়া। এই পরিকল্পনাগুলিকে আবার তিন ভাগে ভাগ করে নেওয়া উচিত। ছোট সময়ের লক্ষ্য, মাঝারি সময়ের লক্ষ্য ও বড় সময়ের জন্যও লক্ষ্য স্থির করে নেওয়া উচিত, সেই অনুযায়ী ধীরে ধীরে বিনিয়োগ করতে হবে।
বিয়ের পর যুগলদের একগুচ্ছ টাকা খরচ না করে, কিছু নতুন জায়গায় বিনিয়োগ করা উচিত। এতে তাঁদের ভবিষ্যৎ জীবনের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হবে। স্বামী এবং স্ত্রী দুজনে একসঙ্গে বসে তবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ। খরচ এবং আয়ের ব্যাপারে অবশ্যই একটা লাভজনক সমতা রাখা উচিৎ। একইসঙ্গে ভবিষ্যতের জন্যও প্ল্যানিং একই সঙ্গে শুরু করা দরকার। মনে রাখা দরকার, ৬০ বছর বয়সের পর সাধারণত আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে যায়। তাই সে সময়ের কথা ভেবেও সঞ্চয় করতে হবে।
কোয়ান্ট ক্যাপিটালস-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিকাশ পুরীর মতে, যুগলদের অবশ্যই বিয়ের আগে একে অপরের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিৎ। তাঁদের ভবিষ্যৎ জীবনে অর্থনৈতিক লক্ষ্য কী রয়েছে ? সে ব্যাপারেও আলোচনা করতে হবে বলে তিনি মনে করেন। একই সঙ্গে তাঁদের মাসিক বেতন কত, বা কোথায় কত পরিমাণে বিনিয়োগ রয়েছে, কোথায় কোথায় হেলথ ইন্সিওরেন্স বা লাইফ ইন্সিওরেন্স আছে সে ব্যাপারেও দুজনকে কথা বলেতে হবে। এ ব্যাপারে পুরি অবশ্য সতর্কবার্তা দিয়েছেন, অবশ্যই এ ব্যাপারে সামনের সঙ্গীকে সত্যি বলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
সানবিডি/ঢাকা/এসএস