বিদ্যমান পাবলিক ইস্যু রুলস অনুযায়ী প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) ন্যূনতম চাঁদা গ্রহণের শর্ত পরিপালনে ব্যর্থ হয়েছে সরকারী মালিকানাধীন আশুগঞ্জ পাওয়ার ষ্টেশন। এমতাবস্থায় কোম্পানিটি আইপিও’র অযোগ্য হলেও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষা ও বন্ড মার্কেটের উন্নয়নে কোম্পানিটিরতা বাতিল না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কমিশনের ৭০১তম নিয়মিত সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মো: সাইফুর রহমান সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
পাবলিক ইস্যু রুলস অনুযায়ী, আইপিওতে কমপক্ষে ৬৫ শতাংশ আবেদন জমার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অন্যথায় ওই কোম্পানির আইপিও বাতিলের বিধান রয়েছে। তবে আশুগঞ্জ পাওয়ারের বন্ডে গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত নির্ধারিত সময়ে ১০০ কোটি টাকার চাহিদার বিপরীতে ৩০ কোটি টাকার বা ৩০ শতাংশ আবেদন জমা পড়ে। যাতে কোম্পানিটি পাবলিক ইস্যু রুলস অনুযায়ী আইপিও'র অযোগ্য হয়ে পড়ে।
কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ, ১৯৬৯ এর সেকশন ২সিসি-তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আশুগঞ্জ পাওয়ারকে পাবলিক ইস্যু রুলস, ২০১৫ এর রুল ৩(৩)(বি), রুল ৬(১) পরিপালনের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে। এই আইনে আইপিওতে কমপক্ষে ৬৫ শতাংশ আবেদন দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এছাড়া রুল ৭(২) এ উল্লেখিত প্রসপেক্টাসের সংক্ষিপ্ত সংস্করন প্রকাশের ২৫ দিন পরে এবং ২৫ কার্যদিবসের মধ্যে আবেদন গ্রহণের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে কমিশন। এই অব্যহতি দিয়ে কোম্পানিটিকে অনুত্তোলিত অংশের চাদাঁ সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে।
এর আগে ২ জুলাই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেয়।
আশুগঞ্জ পাওয়ারের প্রতিটি ৫ হাজার টাকা ইস্যু মূল্যের ২ লাখ নন-কনভার্টেবল, রিডেম্বল, কূপন বেয়ারিং বন্ড আইপিও’র মাধ্যমে ইস্যু করার জন্য নির্ধারিত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কোম্পানিটি ১০০ কোটি টাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ভূমি উন্নয়ন ও সিভিল ওয়ার্ক, প্রাথমিক জ্বালানি, যানবাহন ক্রয়, প্রকৌশলী ও পরামর্শক সেবা, চলতি মূলধন এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যবহার করবে বলে জানিয়েছে।
আশুগঞ্জ পাওয়ারের ২০১৭ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ (এনএভিপিএস) দাড়িঁয়েছে ২৬৫.৯৬ টাকায়। এ কোম্পানিটির বিগত ৫ বছরে ভারিত গড় হারে শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১০.৬৩ টাকা।
আশুগঞ্জ পাওয়ারের ৭ বছর মেয়াদি বন্ডটির বার্ষিক কূপন সুদ হার ১৮২দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের সুদ হারের সাথে ৪ শতাংশ মার্জিন যুক্ত হার (সর্বনিম্ন ৮.৫ শতাংশ ও সর্বোচ্চ ১০.৫০ শতাংশ) এবং অর্ধবার্ষিক মেয়াদে প্রদেয় নির্ধারন করা হয়েছে।
কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজম্যান্ট এবং ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্টস। এছাড়া ট্রাস্টি হিসাবে নিয়োজিত রয়েছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজম্যান্ট।
সানবিডি/ঢাকা/এসআই