বাংলাদেশের প্রথম ‘আয়রনম্যান’ শামসুজ্জামান আরাফাত বলেছেন ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন’ শিশুরাও সমাজের সম্পদ। উপযুক্ত পরিচর্যা ও প্রশিক্ষণ পেলে এরা দেশ ও জাতির উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে।’ আগামী ২৬ অক্টোবর মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠেয় আয়রনম্যান প্রতিযোগিতায় যাত্রার আগে ‘ মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আজ শনিবার (১৯শে অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ব্র্যাক আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির লিমিয়া দেওয়ান, অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেঞ্জ প্রোগ্রামের শেহরিন আহসানসহ অন্যান্য কর্মকর্তা। মালয়েশিয়ায় অবস্থানকালে আরাফাত ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু’দের জন্য তহবিল গঠনে সহায়তা করবেন
আয়োজকরা জানান, সুস্থভাবে জীবনযাপনের জন্য প্রত্যেক মানুষেরই প্রয়োজন যত, পরিচর্যা আর আস্থা। আর বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের প্রতি দিতে হবে বিশেষ নজর। ২০০১ সাল থেকে ব্র্যাক স্কুলগুলোতে তাদের ভর্তি করা হচ্ছে। বর্তমানে সারা দেশে ব্র্যাকের স্কুলগুলোতে ৪০ হাজার জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু লেখাপড়া করছে। এছাড়া, ব্র্যাকরে সারা দশেে প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে ১১টি সন্টোরে শুধুমাত্র বশিষে চাহদিা সম্পন্ন শশিুদরেকে শক্ষিা দয়ো হচ্ছ। শুধু তাই নয়, র্কমক্ষত্রেে বশিষে চাহদিাসম্পন্নদরে অংশগ্রহণ নশ্চিতি করতে জব ফয়োররে মাধ্যমে ৭০০ জন ক্যান্ডডিটেরে মধ্য থকেে সভিি সংগ্রহ করে ৪০২ জনকে পরীক্ষা নয়ো হয়ছে, তাদরে অংশগ্রহণরে জন্য সব সুবধিা ও পরবিশে নশ্চিতি করইে। যার মধ্য থকেে ১৪৪ জনকে ইতোমধ্যে ব্র্যাকরে অভ্যন্তরে সারা দশেে চাকররি জন্য সুপারশি করা হয়ছে।
‘আয়রনম্যান’ শামসুজ্জামান আরাফাত বলেন, ‘আমি গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ব্র্যাকের নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিজঅ্যাবিলিটি সেন্টার (এনডিডি) ঘুরে এসেছি। সেখানে ৩৫ জন শিশুর সঙ্গে কিছু সময় কাটিয়ে আমার উপলব্ধি হয়েছেÑএই শিশুদের কল্যাণে আমাদের যার যার অবস্থান থেকে যথাসাধ্য কাজ করে যেতে হবে।’
ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির লিমিয়া দেওয়ান জানান, ‘ব্র্যাক এডুকেশন প্রোগ্রাম সবসময়ই ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু’দের প্রতি সংবেদনশীল। সারা দেশে ব্র্যাকের ১১টি এনডিডি সেন্টারে পড়ালেখার পাশাপাশি শক্ষর্িাথীদরেকে নিজস্ব কারিগরি দক্ষতার বিকাশ ঘটাতে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।’
অ্যাডভোকেসি ফর সোশ্যাল চেঞ্জ প্রোগ্রামের শেহরিন আহসান বলেন, ‘বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের উপযোগী কর্মক্ষেত্র তৈরিতে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আমরা কথা বলে যাচ্ছি। তারই ধারাবাহিকতায় ব্র্যাকের অফিসগুলো ‘ডিজঅ্যাবলড ফ্র্রেন্ডলি’ করার প্রক্রিয়া চলছে। ইতিমধ্যে ব্র্যাকের ওয়েবসাইটটিও প্রতিবন্ধীবান্ধব করা হয়েছে।’
মোহাম্মদ শামসুজ্জামান আরাফাত বাংলাদেশের প্রথম আয়রনম্যান যিনি ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ফ্র্যাঙ্কফুর্ট ২০১৯-তে আয়রনম্যান খেতাব দ্বিতীয়বারের মতো অর্জনের জন্য ৩.৮ কিলোমিটার সাঁতার, ১৮৫ কিলোমিটার সাইক্লিং এবং প্রায় ৪২ কিলোমিটারের একটি পূর্ণ ম্যারাথন সম্পূর্ণ করেন মাত্র ১২:১৪:৪৩ সেকেন্ডে। আরাফাত প্রথমবার এই খেতাব জিতেছিলেন ২০১৭ সালে মালায়শিয়াতে। সেবার তিনি এই ট্রায়াথলন শেষ করতে সময় নিয়েছিলেন ১২:৪৩:১৭ সেকেন্ড।
সানবিডি/ঢাকা/এসআই