হুয়াওয়ে ২০১৯ সালের এক-তৃতীয়াংশের ব্যবসায়িক ফলাফল ঘোষণা করেছে। বছরের প্রথম তৃতীয় প্রান্তিকে হুয়াওয়ের আয়ের পরিমাণ ৮৬ বিলিয়ন ডলার। যা এক সময়ে বিগত বছরের তুলনায় ২৪.৪ শতাংশ বেশি। এ সময়ে কোম্পানির নিট মুনাফার পরিমাণ ছিল ৮.৭ শতাংশ।
হুয়াওয়ে আইসিটি অবকাঠামো এবং স্মার্ট ডিভাইসগুলির ওপর বেশি প্রাধান্য দিয়েছে এবং সেই সাথে পণ্যের দক্ষতা এবং গুণগতমানও ঠিক রেখেছে। যা বছরের প্রথম তিন কোয়ার্টারে হুয়াওয়ে সাংগঠনিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে।
বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ৫জি’র নেটওয়ার্ক স্থাপনের কাজ দ্রুততার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। হুয়াওয়ে তাদের সুপার আপলিঙ্ক, স্মার্ট এবং ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক খুব সহজীকরণ করার মতো ইনোভেটিভ সল্যুশন চালুর কাজ অব্যাহত রেখেছে। এছাড়াও ইন্ডাষ্ট্রি জোট প্রতিষ্ঠায় হুয়াওয়ে ইন্ডাষ্ট্রি পার্টনারদের কাজ করছে। সেই সঙ্গে শিল্প উদ্ভাবনী কোম্পানি সমূহের সাথে যুক্ত হয়ে ৫জি নির্ধারিত নেটওয়ার্কিংয়ের জন্য কাজ করে যাছে।
ইতিমধ্যে সময়ের চেয়ে আরো দ্রুতগতি সম্পন্ন ৫জি নেটওয়ার্ক সেবা দেবার জন্য ৬০টিরও বেশি বাণিজ্যিক চুক্তি সই করেছে হুয়াওয়ে এবং চার লাখের বৃহৎ এমআইএমও অ্যাক্টিভ অ্যান্টেনা ইউনিট বিশ্বব্যাপী বাজারে প্রেরণ করেছে। হুয়াওয়ের অপটিক্যাল ট্রান্সমিশন, ডেটা যোগাযোগ এবং আইটি সেবাগুলো উৎপাদন ও সরবরাহ ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে।
এন্টারপ্রাইজ ব্যবসায় হুয়াওয়ে হরাইজেন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মটি চালু করেছে। হুয়াওয়ের ব্যাপক ভিত্তিক প্রযুক্তিগত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এই দক্ষ প্ল্যাটফর্মটি তৈরি করা হয়েছে।
হুয়াওয়ের লক্ষ্য ছিল গ্রাহক এবং অংশীদারদের সাথে মিলিত হয়ে ডিজিটাল বিশ্ব তৈরি করা। এই প্ল্যাটফর্মটি সরকার, জনসেবা, আর্থিক সংস্থান, পরিবহন এবং বিদ্যুতের বিভিন্ন খাতকে দ্রুত ডিজিটালে রূপান্তরে সহায়তা করছে যার আর্থিক মূল্য কয়েক ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।
চলতি বছরের তৃতীয় কোয়ার্টারে শেষে বিশ্বের প্রায় ৭০০ টিরও বেশি শহরে, ২২৮ ফরচুন গ্লোবালের ৫০০ কোম্পানি, ৫৮ ফরচুন গ্লোবালের ১০০ কোম্পানি হুয়াওয়েকে তাদের ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন পার্টনার হিসেবে নির্বাচিত করেছে।
কনজ্যুমার ব্যবসার ক্ষেত্রে হুয়াওয়ের স্মার্টফোন বেশ ভালোভাবেই নিজের অবস্থান করে নিয়েছে। চলতি বছরের প্রথম তিন কোয়ার্টারে স্মার্টফোন আমদানি বেড়েছে প্রায় ১৮৫ মিলিয়ন ইউনিট, যা একই সময় বিগত বছরের তুলনায় প্রায় ২৬ শতাংশ বেশি। পিসি, ট্যাবলেট, ওয়ারেবল ডিভাইস ও স্ম্যার্ট অডিও প্রোডাক্টের ক্ষেত্রেও হুয়াওয়ের অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার এর খাতে নতুনত্ব নিয়ে এই বছরেই চালু হয়েছে ভিশন স্মার্ট স্ক্রিন, যা বর্তমান বাজার ব্যবস্থা ও সেবাগ্রহীতা উভয়ের কাছেই সমান ভাবে সমাদৃত হয়েছে।
কনজ্যুমারদের কথা মাথায় রেখে দীর্ঘ পরিসরে হুয়াওয়ে আনতে চলেছে আরো নিখুঁত ইন্টেলিজেন্স সিস্টেম যা সেবার মানকে আরো মসৃন করবে।
আগের তুলনায় হুয়াওয়ের মোবাইল সার্ভিস সিস্টেমের কার্যক্রম বেড়েছে বহুগুন, যা বর্তমানে ১৭০ টিরও বেশি দেশে বিস্তৃত। বিশ্বব্যাপী ১.০৭ মিলিয়ন রেজিস্টার্ড ডেভলপার বর্তমানে হুওয়ায়ের সাথে যুক্ত।
সানবিডি/ঢাকা/এসআই