গত পাঁচ বছরে নিবন্ধিত বিলাসবহুল গাড়ির তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) আবার চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার পাঠানো ওই চিঠিতে পাঁচ দিনের মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে তথ্য দিতে বলা হয়েছে। এ বছর এর আগে আরও দুবার চিঠি পাঠানো হলেও বিআরটিএ সম্পূর্ণ তথ্য না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে নতুন এই চিঠি পাঠিয়েছে দুদক।
চিঠি পাঠানোর বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের মুখপাত্র প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।
প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, গত পাঁচ বছরে বিআরটিএতে নিবন্ধন করা ২ হাজার ৫০০ সিসি বা তার বেশি অশ্বশক্তিসম্পন্ন ব্যক্তিমালিকানাধীন গাড়ি বা জিপ গাড়ির তালিকা চাওয়া হয়েছে। দুদকের বিশেষ তদন্ত অনু বিভাগের মহাপরিচালক সাইদ মাহবুবের সই করা চিঠিটি বিআরটিএ চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়েছে।
নতুন চিঠিতে বলা হয়, ২ হাজার ৫০০ বা এর বেশি সিসির ব্যক্তিমালিকানাধীন গাড়ি বা জিপ গাড়ির ব্র্যান্ডের নামসহ অন্যান্য তথ্য সংযোজন করে নতুন করে তালিকা পাঁচ কার্য দিবসের মধ্যে দুদকে পাঠাতে হবে। এসব গাড়ি নতুন না রিকন্ডিশনড, সে তথ্যও তালিকায় সন্নিবেশিত করতে হবে। জানা গেছে, এর আগে বিআরটিএর পাঠানো তালিকায় এসব তথ্য না থাকায় দুদক তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে এবং এসব তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়।
কার্নেট ডি-প্যাসেজ সুবিধার আওতায় বিদেশ থেকে আসা বেশ কিছু বিলাসবহুল গাড়ি ভুয়া রেকর্ডপত্রের ভিত্তিতে বিআরটিএতে নিবন্ধন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি তদন্ত করছে দুদক। কার্নেট ডি-প্যাসেজ এমন একটি দলিল, যা একজনকে গাড়িসহ তাঁর নিজ দেশ থেকে আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রমের অনুমতি দেয় এবং এতে শুল্ক এড়ানো যায়। মূলত এটি একটি প্রতিশ্রুতি যে একজন নিজ দেশের বাইরে যাওয়ার সময় গাড়িটি সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন। অন্যথায় বড় ধরনের দণ্ডের ঝুঁকি থাকে।