বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) ব্যাংকের নারী উদ্যোক্তাদের আর্থিক শিক্ষা এবং ব্যবস্থাপনা সক্ষমতা শীর্ষক সেমিনারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের স্বল্প সুদে ঋণ দিতে সমন্বিত উদ্যোগ জরুরী। বাংলাদেশ ব্যাংক, সরকার এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার মধ্যে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। নারী উদ্যোক্তাদের জন্য একটি ফান্ড গঠন করে বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন করা যেতে পারে।
আজ বুধবার রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি অ্যান্ড ম্যানেজারিয়াল ক্যাপাসিটি অব উইমেন ইন্টরিপ্রিনিউরস ইন স্মল ফার্মস অ্যান্ড একসেস টু ফরমাল সোর্সেস অব ফাইন্যান্স’ শীর্ষক সেমিনারে উপস্থাপিত গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এবং বিআইবিএম নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এস এম. মনিরুজ্জামান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইবিএম-এর পরিচালক (গবেষণা, উন্নয়ন এবং কন্সালটেন্সী) ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জ্জী। সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএম-এর ড. মোঃ আখতারুজ্জামান।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বিআইবিএমের ড. মোজাফফর আহমদ চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা; সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এ চৌধূরী; পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী; বিআইবিএম-এর সাবেক সুপারনিউমারারি অধ্যাপক মোঃ ইয়াছিন আলি; ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আখতার আসিফ; বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক লীলা রশিদ; তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্টার্ট আপ প্রকল্পের বিনিয়োগ উপদেষ্টা টিনা এফ. জাবীন।
সেমিনারে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএম-এর সহকারী অধ্যাপক ড. মোঃ মোশাররেফ হোসেন। চার সদস্যের গবেষণা দলে অন্যান্যের মধ্যে রয়েছেন- বিআইবিএম-এর সহকারী অধ্যাপক মোঃ রুহুল আমীন; বিআইবিএম-এর সহকারি অধ্যাপক তাহমিনা রহমান এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আনোয়ার ফারুখ তালুকদার।
সেমিনারের উদ্বোধন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এবং বিআইবিএম নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এস এম. মনিরুজ্জামান বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন, উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং উন্নয়নে নারী উদ্যোক্তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এসব দিক বিবেচনায় এসএমই খাতে নারী উদ্যাক্তাদের সম্ভাবনা অনেক বেশি। এরপরও বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে বিভিন্ন বাঁধার কারণে নারী উদ্যাক্তার সংখ্যা তুলনামূলক কম।
বিআইবিএমের চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা তার বক্তব্যে আর্থিক শিক্ষার আগে নারীদের শিক্ষিত হওয়ার ওপর জোরারোপ করেন।
সোনালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এ চৌধূরী নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বীমা সুবিধা চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, এসএমই খাতে নারী উদ্যোক্তাদের সম্পৃক্তা আরো বাড়ানোর ওপর জোরারোপ করেন। তিনি বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের আর্থিক শিক্ষা, দক্ষতা এবং ব্যবস্থাপনায় দক্ষ হতে হবে। এ দক্ষতা অর্জন করতে পারলে ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া সহজ হবে।
বিআইবিএম-এর সাবেক সুপারনিউমারারি অধ্যাপক মোঃ ইয়াছিন আলি বলেন, নারীদের আরও বেশি অর্থনৈতিক কার্যক্রমে অর্ন্তভূক্ত করতে বিভিন্ন ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক লীলা রশিদ বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের জন্য জামানত ও গ্যারান্টার বড় সমস্যা। এসমস্যা দূর করতে সন্বিত উদ্যোগ জরুরী।