বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, রপ্তানি আয় পাঁচ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সহযোগিতা করবে সরকার। চামড়াজাত শিল্পকে দ্বিতীয় রপ্তানি পণ্যে নিয়ে আসতে হবে। সেজন্য যা করণীয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) নবরাত্রি হলে তিন দিনব্যাপী ‘লেদারটেক বাংলাদেশ-২০১৯’ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে যদি আমরা পণ্য রপ্তানির পরিমাণ বাড়াতে চাই, তাহলে আমাদেরকে কোয়ালিটি বাড়াতে হবে। ব্র্যান্ডিং অনেক বড় বিষয়, এটার জন্য প্রয়োজন কোয়ালিটি বাড়ানো।
বিদেশিদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, আমরা অপেক্ষা করছি, কবে এদেশে বড় বিনিয়োগকারীরা আসবে। সরকার সব ধরনের সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে রপ্তানি আয় ৫ বিলিয়ন ডলারে বাড়াতে রোডম্যাপ তৈরি করা হয়েছে। বাজারকে আপগ্রেড করতে হলে কোয়ালিটি বাড়াতে হবে। সেজন্য বুদ্ধিমত্তা দরকার। ব্র্যান্ডে পরিণত করতে দক্ষ জনবল দরকার। এখাতে রপ্তানি বাড়াতে কী কী দরকার, উদ্যোক্তারা জানালে মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে।
মন্ত্রী বলেন, ভিয়েতনামের জনসংখ্যা আমাদের চেয়ে অনেক কম। তারপরও তাদের রপ্তানি আয় ২০০ বিলিয়ন ডলার। আমরা সেখানে কবে যাবো? এজন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
বাণিজ্যসচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন বলেন, ৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের টার্গেট নিয়েছে সরকার। চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সব ধরনের সহযোগিতা করবে।
মেলার বড় অংশজুড়ে ভারতের সিএলআই, আইএফসিএমএ, চীনের ওয়েনঝোও অ্যান্ড জিনজিয়াং অ্যাসোসিয়েশন ও পাকিস্তান ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক্সক্লুসিভ ফিনিশড প্যাভিলিয়ন রয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ, কোরিয়া, তুরস্ক, মিশর, ভিয়েতনাম, যুক্তরাজ্য, শ্রীলঙ্কা, ইতালি, জার্মানি, সিঙ্গাপুর, জাপান, তাইওয়ান ও হংকংসহ ২০টি দেশের প্যাভিলিয়ন রয়েছে।
প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মেলা চলবে। দর্শনার্থীরা কোনো টিকেট ছাড়াই বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারবেন। প্রদশর্নী চলবে ২ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত।
সানবিডি/ঢাকা/এবিএস